Watching, storing child pornography offence under Pocso Act: Supreme Court

Supreme court: শিশু পর্নোগ্রাফি ফোনে রাখাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ! রায় দিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ

শিশু পর্নোগ্রাফি দেখা এবং ডাউনলোড করে রাখা— দুইই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সোমবার এমনটাই জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলেই মনে করছে নানা মহল।

কেবল আদানপ্রদান বা আপলোড নয়। চাইল্ড পর্নোগ্রাফি দেখা বা কোনও ডিভাইসে তা মজুত করাও পকসো আইনে অপরাধ। সোমবার এই কথা জানাল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ। চাইল্ড পর্নোগ্রাফি দেখা সংক্রান্ত মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়কেও খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্ট ‘গুরুতর ভুল‘ করেছে বলেও জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এর পাশাপাশি আদালতের কাজকর্মে ‘চাইল্ড পর্নোগ্রাফি’ (Child Pornography) শব্দবন্ধ ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বদলে ‘চাইল্ড সেক্সুয়ালি অ্যাবিউসিভ অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেটিভ মেটেরিয়াল’ (child sexually abusive and exploitative material) লিখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

মাদ্রাজ হাই কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়ে সোমবার এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ। সেখানেই শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, শিশু পর্নোগ্রাফি দেখা এবং ফোনে ডাউনলোড করে রাখা— দুইই পকসো আইনের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

 

২৮ বছরের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি দেখা এবং তা ডাউনলোড করে ফোনে রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হওয়ায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত ব্যক্তি। মামলায় তাঁর আবেদন ছিল, চাইল্ড পর্নগ্রাফি দেখলেও তিনি তা কারও সঙ্গে তা আদানপ্রদান বা আপলোড করেননি। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে মাদ্রাজ হাইকোর্ট ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়েছিল। মাদ্রাজ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৭বি ধারা অনুযায়ী, চাইল্ড সেক্সুয়াল এক্সপ্লিসিট মেটেরিয়াল প্রকাশ করা, কারও সঙ্গে তা শেয়ার করা বা তৈরি করাও অপরাধ। তাই সেই ছবি কেবল দেখলে বা রাখলে অপরাধ হচ্ছে না।

পকসো আইনের শিশু-পর্নোগ্রাফি বিষয়ক ১৫তম ধারাটি উল্লেখ করে সোমবার দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, মাদ্রাজ হাই কোর্টের রায় একটি ‘বড় ভুল’। বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, শিশু পর্নোগ্রাফি দেখা এবং নিজের কাছে সংরক্ষণ করে রাখার জন্য ন্যূনতম পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। ফের একই অপরাধ করলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। কোনও ব্যক্তি শিশু পর্নোগ্রাফির প্রচার করলে কিংবা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করলে জরিমানা-সহ তিন থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

এই ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে সাত বছর পর্যন্তও কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। সংসদে পকসো আইন সংশোধনের পরামর্শও দিয়েছে শীর্ষ আদালত, যাতে ভবিষ্যতে শিশু পর্নোগ্রাফিকে ‘যৌন নিপীড়নমূলক’ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়।