‘আমরা চাই মোদীজি আবার মুখ্যমন্ত্রী হোন।’ ফের ফাউল করে বসলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। নীতীশের এই কথায় মঞ্চের অন্য বক্তা এবং শ্রোতার চমকে গেলেও গোড়ায় ভেবেছিলেন মুখ ফসকে প্রধানমন্ত্রীর জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী বলে ফেলেছেন। কিন্তু একবার নয়, একাধিকবার নরেন্দ্র মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন জেডিইউ সুপ্রিমো। তিনি যে ভুল বলছেন তাও ঠাওর হয়নি তাঁর।
গত মাসে এক জায়গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এক মঞ্চে ভাষণ দেন নীতীশ। ভাষণ শেষ হতে প্রধানমন্ত্রী পাশে এসে বসা বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, আপনি খুব ভাল বক্তৃতা করেন। এই প্রথম আপনার পুরো রাজনৈতিক ভাষণ শোনার সুযোগ হল। বেশ ভাল বললেন।
প্রশংসা শুনে প্রধানমন্ত্রীর পা জড়িয়ে ধরেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। মুহূর্তে সেই দৃশ্য ভাইরাল হয়ে যায়। সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় মোদীর পা ধরা নিয়ে। বিরোধীরা বলে, এটাই ভবিতব্য ছিল পাল্টুরামের। ঘন ঘন শিবির বদল করায় ‘সুশাসনবাবু’ তকমা পাওয়া নীতীশ সম্পর্কে এখন ‘পাল্টুরাম’ কথাটিই বেশি চালু ।
সেই ঘটনার পর বিজেপি ও জেডিইউ সিদ্ধান্ত নেয় নীতীশকে আর প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে তোলা হবে না। এর পিছনে শুধু পা ছোঁয়াই একমাত্র কারণ নয়, আরও একাধিক ক্ষেত্রে নীতীশের অসংলগ্ন কথাবার্তাও কারণ। এমনকী তিনি ইদানীং অনেক বিষয় ভুলে যাচ্ছেন বলে খবর।এরই মধ্যে খরব ছড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে তিনি লন্ডনে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে এসেছেন। এ বছর মার্চে নীতীশ লন্ডন সফরে গিয়েছিলেন।
জানা যায় সেই সফরে তিনি লন্ডনের একটি নামজাদা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন এবং স্মৃতিশক্তির সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েছেন বলে খবর। স্বভাবতই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে, নীতীশ সরে গেলে তাঁর দলেরই কেউ পাটনার কুর্সিতে বসবেন নাকি, মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিজেপির কেউ।