১৫ বছরের কিশোরের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হয়েছিলেন ১৯ বছরের তরুণী। সেকথা জানাজানি হতেই পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ৫ বছর পর অবশেষে নাবালককে যৌন হেনস্থার দায়ে (sexually assaulting minor boy) তরুণীকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। বিচারে তাঁকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের। বর্তমানে তরুণীর বয়স ২৪ বছর। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে নির্যাতিত নাবালকের বাড়ির লোকজন থানায় ছেলের জন্য নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন।
জোরদার তল্লাশি শুরু হয়। তাতেই জানা যায়, কিশোরকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার নাম করে গুজরাতে পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত তরুণী। দুজনকেই সেখান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। নির্যাতিত কিশোর জানায়, গুজরাতে তাকে একটি টাইলস তৈরির কারখানায় কাজে লাগিয়ে দিয়েছিল তরুণী। দুজনে একসঙ্গে থাকত, এবং তরুণী তার সঙ্গে অন্তত ৫-৬ বার যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। সে আরও জানায়, তাকে বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলতে দিত না অভিযুক্ত তরুণী।
নির্যাতিত কিশোর এবং অভিযুক্ত তরুণী-দুজনেরই মেডিক্যাল পরীক্ষা করায় পুলিশ। তাতে দেখা যায়, তরুণী নিয়মিত যৌনতায় অভ্যস্ত। তবে নির্যাতিত কিশোরের তখনও গৌণ জননাঙ্গ সম্পূর্ণভাবে তৈরিই হয়নি। এরপরেই পকসো (POCSO) আইন, এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা অনুযায়ী তরুণীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। বিশেষ আদালতে মামলার শুনানি শুরু হয়। এতদিন মামলা চলার পর অবশেষে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।
যদিও আদালতের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত তরুণী। বর্তমানে তিনি বিবাহিত, দু বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। তাঁর দাবি, সেই সময় ওই কিশোরের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মতিতেই তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।