ভারতীয় কুস্তিগীরদের বিক্ষোভের আঁচ ইতিমধ্যেই গোটা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। সেই আগুনেই এবার ঘৃতাহুতি করল অমিত শাহের পুলিশ।দিল্লির যন্তর মন্তরে বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই প্রতিবাদ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চলেছেন দেশের তাবড় কুস্তিগীররা। কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি সাংসজ ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে এই প্রতিবাদ। অলিম্পিকে পদকজয়ী বজরং পুনিয়, সাক্ষী মালিকরা যেমন এই প্রদিবাদে সামিল হয়েছেন, তেমনই প্রতিবাদ করছেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পদকজয়ী ভিনেশ ফোগাট এবং অন্যান্য তরুণ কুস্তিগীররা। আর এরই মধ্যে এবার পুলিশের বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ।
বুধবার গভীর রাতে কুস্তিগীরদের বিক্ষোভ স্থলে হুলুস্থুল কাণ্ড বাধে। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয় কুস্তিগীরদের। বজরংরা অভিযোগ করেন যে মত্ত অবস্থায় নাকি পুলিশকর্মীরা তাঁদের মারধর করেছেন। কুস্তিগীরদের দাবি, বৃষ্টির কারণে তাঁরা নাকি বিছানা নিয়ে আসার কথা বলেছিলেন। কিন্তু, ধরনাস্থলে আসার আগেই পুলিশ তাদের আটকে দেয়। আর সেকারণেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের একপ্রস্থ ধাক্কাধাক্কি হয়।
এই ঘটনায় দুষ্মন্ত ফোগাত সহ আরও ২ কুস্তিগীর ব্যাপক চোট পেয়েছেন। অভিযোগ, মহিলাদের সঙ্গেও নাকি পুলিশ অশালীন আচরণ করেছে। পাশাপাশি আম আদমি পার্টির বিধায়ক সোমনাথ ভারতীকে পুলিশ আটকও করেছিল। যদিও তাঁকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর যন্তর-মন্তরের নিরাপত্তাবলয় আরও কঠিন করে দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া এই অভিযোগ করেছেন যে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে যে মহিলা কুস্তিগীররা ছিলেন, দিল্লি পুলিশকর্মীরা নাকি তাঁদের গালাগালি দিয়েছেন। তাঁদেরকেও বেধড়ক মারা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, ‘আপাতত আমাদের গোটা দেশের সমর্থন দরকার। প্রত্য়েকেরই দিল্লি আসা উচিত। আমাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ক্ষমতার অপপ্রওয়োগ করছে। মহিলাদের গালাগালি দিচ্ছে। আর বৃজভূষণের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই গ্রহণ করা হচ্ছে না।’
ঘটনা প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গতকাল যন্তর মন্তরের অবস্থান বিক্ষোভের জায়গায় কিছু খাটিয়া নিয়ে এসিছেলেন সোমনাথ ভারতী (আম আদি পার্টি নেতা)। তবে তিনি কোনও অনুমতি ছাড়াই খাটিয়া নিয়ে এসেছিলেন সেখানে। সেই সময় পুলিশ হস্তক্ষেপ করলে তাঁর সমর্থকরা মারমুখী হয়ে পড়ে। ট্রাক থেকে খাটিয়া নামাতে উদ্যত হয় তারা। এরপর ছোটখাটো সংঘর্ষ বাঁধে।