প্রথমে শরদ পাওয়ার, তারপর একে একে ফারুক আবদুল্লাহ এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও বিরোধীদের তরফে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে অস্বীকার করেন। এই আবহে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি যশবন্ত সিনহার নাম ভেসে উঠেছিল সম্ভাব্যদের তালিকায়। এই আবহে জল্পনায় ঘি ঢেলে একটি টুইট করলেন যশবন্ত সিনহা। এরপরই মনে করা হচ্ছে, সম্ভবত যশবন্ত সিনহাকেই বিরোধীরা সংযুক্ত ভাবে প্রার্থী করতে পারে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য।
মঙ্গলবার সকালে টুইট করে তিনি স্পষ্ট করলেন, ‘রাষ্ট্রপতি পদপ্র্রার্থী হতে তাঁর আপত্তি নেই। বৃহত্তর স্বার্থে তিনি কাজ করতে আগ্রহী। আর সেই কারণেই দল ছাড়ছেন। তাঁর আশা, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাবেন।’
আরও পড়ুন: Flight Fire: মাঝআকাশে পাখির ডানার ঝাপটায় যাত্রিবাহী বিমানে আগুন! তারপর…
I am grateful to Mamataji for the honour and prestige she bestowed on me in the TMC. Now a time has come when for a larger national cause I must step aside from the party to work for greater opposition unity. I am sure she approves of the step.
— Yashwant Sinha (@YashwantSinha) June 21, 2022
এই প্রেক্ষিতে তাঁর নাম নিয়ে মঙ্গলবার শরদ পাওয়ারের জনপথের বাসভবনে বিরোধী নেতাদের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে খবর। শরদের ডাকা সেই বৈঠকে হাজির রয়েছেন সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে, তৃণমূলের সুধীন্দ্র কুলকার্নিরা।সম্ভবত নির্বাচনে বিরোধীদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে বেছে নেওয়া প্রার্থীকেই সমর্থন দেবে সিপিএম, সিপিআই। সেই বৈঠকে যশবন্তের নাম চূড়ান্ত করে দুপুরে সংসদ ভবনের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের বৈঠকে তাতে সিলমোহর দেওয়া হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিরোধীদের এই দ্বিতীয় বৈঠকে আমন্ত্রিত AIMIM সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)। পাওয়ারের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি দুপুরের বৈঠকে নিজে হাজির থাকতে পারেন। তৃণমূলের তরফে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে হাজির থাকবেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।