খুব নিঃশব্দে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে দেশের প্রত্যেক প্রান্তে এবং এমন সব এলাকাতেও ছড়াচ্ছে যেখান থেকে আগে কখনও এই ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। পুনের জাতীয় ভায়রোলজি ইনস্টিটিউট ও আইসিএমআর-এর বিজ্ঞানীদের মতে এই রোগের স্থানীয় সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে।
এবার মহারাষ্ট্রের এক সাত বছরের শিশুর শরীরে মিলল এই ভাইরাসের নমুনা। এই ভাইরাসে আক্রান্তের সর্বশেষ খবর মিলেছে মহারাষ্ট্রে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের পালঘর জেলার এক সাত বছরের শিশু কন্যার শরীরে মিলেছে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব। জানা গেছে, শিশুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ে সেরে ফেললেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী, জেনে নিন তাঁর স্ত্রী সম্পর্কে
এই একটি মশাবাহিত রোগ। এই ভাইরাস সাধারণত অ্যাডিস মশা থেকে ছড়ায়। এই ভাইরাসের অন্যতম উপসর্গ জ্বর। জানা গেছে, ৮০ শতাংশের বেশি জিকা ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের ক্ষেত্রে প্রথম উপসর্গই জ্বর। এছাড়াও শরীরে ব়্যাশ দেখতে পাওয়া যায়। কারোর কারোর আবার শ্বাসকষ্টও হয়।
গর্ভবতী মহিলার থেকে তাঁর গর্ভে থাকা সন্তান এই ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে নবজাতক মাইক্রোসেফ্যালিতে আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগে মাথা শরীরের তুলনায় অস্বাভাবিক রকম ছোট আকারের হয়। চিকিৎসকরা বলছেন অসম্পূর্ণ মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাতে পারে শিশু। যৌনসম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণ।
গত বছরও বর্ষার সময় এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। প্রধানত দক্ষিণের রাজ্যে ছড়িয়েছিল এই ভাইরাস। তবে চলতি বছরে ফের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে।
আরও পড়ুন: Landslide: ধানবাদের কাছে নির্মীয়মাণ আন্ডার পাসে দুর্ঘটনা, নিহত চার, চলছে উদ্ধার কাজ