বমি করতে বাসের জানালা দিয়ে মুখ বের করেছিলেন বছর কুড়ির যুবতী। সেটাই কাল হল। দুই বাসের রেষারেষিতে মাঝে আটকে গেল যুবতীর মাথা। ধাক্কায় নিমেষের মধ্যে গুড়ো গুড়ো হয়ে গেল মাথার খুলি। বাসের ভিতরে, রাস্তায় ছিটকে পড়ল মাথার ঘিলু। বুধবার মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে দিল্লিতে।
নিহত যুবতীর নাম বাবলি (২০)। উত্তর প্রদেশের প্রতাপগড়ে তাঁর বাড়ি। বুধবার দিল্লির কাশ্মীর গেট থেকে লুধিয়ানাগামী একটি বাসে ওঠেন বাবলি। সঙ্গে তাঁর স্বামী, তিন সন্তান ও বোনও ছিল। বাসে ওঠার পর থেকেই অসুস্থবোধ করছিলেন তিনি। স্বস্তি পেতে জানালার ধারের একটি সিটে বসেছিলেন।
দিল্লির আলিপুর এলাকার কাছে বাস যখন পৌঁছয়, তখন গা গুলিয়ে ওঠে বাবলির। বমি করার জন্য জানালা দিয়ে মাথা করেন। সেই সময়ই পাশ দিয়ে আসছিল হরিয়ানা রোডওয়েজের একটি বাস। বাবলি যখন বমি করছিলেন, সেই সময়ই অপর বাসটি ওভারটেক করার চেষ্টা করে। দুই বাসের মাঝে তাঁর মাথা আটকে যায়। চাপ লেগে যুবতীর মাথার খুলি গুড়ো হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবতীর।
রবি কুমার সিং, ডিসিপি (আউটার নর্থ) জানান, “ডাক্তাররা আমাদের বলেছেন যে বাবলি নামে একজন মহিলা দুর্ঘটনায় পড়েছেন এবং তার আঘাতে তিনি মারা গেছেন। অনুসন্ধানের পরে, এটি পাওয়া গেছে যে তিনি এবং তার পরিবার বুধবার সকালে আইএসবিটি, দিল্লি থেকে হরিয়ানা রোডওয়েজের বাসে উঠেছিলেন। যাচ্ছিলেন লুধিয়ানার পথে।বাসটি আলিপুর এলাকায় পৌঁছলে মহিলাটি অসুস্থ বোধ করেন এবং বমি করার জন্য জানালার বাইরে ঝুঁকে পড়েন। তখনই হয় এই বিপত্তি।”