ইউক্রেনের একটি সমুদ্রবন্দরে আটকা পড়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলা হয়েছে। এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান নিহত হয়েছেন।বুধবার রাতে জাহাজে হামলার ঘটনাটি ঘটে।রাত ৯টা ২৫ মিনিটে জাহাজের ব্রিজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নাবিক নিহত হন।
ইউক্রেনে বাংলাদেশি নাবিক নিহত হওয়ার ঘটনায় ঢাকার রুশ দূতাবাস এক বিবৃতিতে ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) এ বিষয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে রাশিয়া ।বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের অভ্যন্তরীণ নোঙ্গরঘরে অবস্থানরত জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান মিসাইল হামলার ফলে নিহত হয়েছেন। পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ বি এম সুলতানা লায়লা হোসেন বলেন, ‘একজন নিহত হয়েছেন। তবে, বাকিরা নিরাপদে আছেন।’
তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বলতে পারবে। এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা পেলে আমি সেটা বাস্তবায়ন করব।’
ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসন শুরু হলে জাহাজের মালিকানাধীন কোম্পানি বিএসসি কার্গো লোড প্ল্যান বাতিল করে এবং জাহাজের মাস্টারকে বন্দরে বার্থ না করে আন্তর্জাতিক জলসীমায় স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়।তবে, বন্দরের ছাড়পত্র পেতে বিলম্বের কারণে জাহাজটি বন্দর থেকে ছেড়ে যেতে ব্যর্থ হয় এবং রাশিয়ান আক্রমণের পর বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেটি আটকে পড়ে।
জাহাজের নাবিকরা বলছেন: যতদ্রুত সম্ভব পোর্ট অথরিটির সঙ্গে কথা বলে দ্রুত উদ্ধারকারী বোট পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। আমরা এখান থেকে ল্যান্ডে যেতে চাই, বাঁচতে চাই। অন্যরা যারা ছিলো তারা সবাই চলে গেছে। কিন্তু আমরা এখনও এখানে বসে আছি। দয়া করে আমাদের জন্য কিছু করেন।মাঝ সমুদ্রে আটকে পড়া নাবিকদের একটাই আবেদন যত দ্রুত পারে শিপিং কর্পোরেশন স্থানীয় বন্দরকে বলে দিলে রেসকিউ বোর্ড তাদের উদ্ধার করে বাংকারে নিয়ে যাবে। শেল নিক্ষেপে নিহত হাদিসুরের মরদেহ আপাতত ডিপ ফ্রিজে রাখা হয়েছে।