শীর্ষ আদালত ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট । supreme সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর নয় নয় করে ৬৫ ঘণ্টা কেটে গেলেও কর্মবিরতি তোলেননি জুনিয়র ডাক্তারেরা। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, জুনিয়র ডাক্তারেরা কি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ‘অবমাননা’ করছেন? contempt of court
তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা বলছেন, ১৭ সেপ্টেম্বর পরের শুনানিতে এটাই হবে রাজ্য সরকারের ‘হাতিয়ার’। সুপ্রিম কোর্টকে বলা হবে, প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিলেও কাজে ফেরেননি জুনিয়র ডাক্তারেরা। কিন্তু সত্যিই কি আদালত অবমাননা হয়েছে? এই প্রশ্নে কার্যত একই সুরে আইনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিএমের বিকাশ ভট্টাচার্য।
বিকাশ বলেন, “যাঁরা বলছেন আদালত আবমাননা হচ্ছে, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না জেনেই বলছেন। সুপ্রিম কোর্ট কোথাও বলেনি, ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতেই হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। আদালত বলেছিল, জুনিয়র ডাক্তারেরা ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে রাজ্য সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে চাইলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।” কল্যাণের কথায়, “এটাকে আদালত অবমাননা বলা যায় না। তবে নিশ্চিত ভাবেই বিচার ব্যবস্থার যে কাঠামো রয়েছে, তাতে সুপ্রিম কোর্টকে অসম্মান বা অপমান করা হয়েছে।”
শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদের আরও বক্তব্য, “জুনিয়র ডাক্তারেরা সুপ্রিম কোর্টকে কাঁচকলা দেখিয়েছেন। পাশাপাশি এটাও ঠিক যে, রাজ্য সরকার সহনশীলতা দেখাচ্ছে।” পেশায় আইনজীবী কল্যাণের সখেদ উক্তি, “সরকার এতটা সহনশীল না হলেও পারে। কারণ, গরিব মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।”