কেরালায় কোচির কাছে একটি প্রার্থনা সভায় পরপর একাধিক বিস্ফোরণ হয়েছে(Ernakulam blast)।এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ৩৬ জন আহত হয়েছেন এবং একজন নিহত হয়েছেন। কচি শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে কালামসসারিতে একটি প্রার্থনা সভা চলাকালীন এই হয় রবিবার দুপুরে। প্রসাশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে টিফিন বক্স থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। কালামসসারির সংসদ ইডেন জানিয়েছেন প্রার্থনা কেন্দ্রের মাঝে এই ঘটনা ঘটে। বাইরে আসার জন্য হুড়োহুড়ি লেগে গেলে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি। ঘটনাটিকে নিন্দা জনক বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এলাকায় পৌঁছে গেছে প্রচুর এম্বুলেন্স স্থানীয় সব স্তরের স্বাস্থ্য কর্মীদের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে বলেছেন কেরালার স্বাস্থ্য মন্ত্রী বিনা জর্জ।ইতিমধ্যে কেরালা পুলিশ সহ এএনআই এর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতে শুরু করেছে। জারি হায় এলার্ট।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রবিবার সকালে প্রার্থনা চলাকালীন পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা কনভেনশন সেন্টার। সেখানে জমায়েতকারীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কনভেনশন সেন্টারের একাংশে আগুন জ্বলতে শুরু করে। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যায় দমকল। সেন্টার থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করেন দমকল কর্মীরা।
#WATCH | Kerala: Outside visuals from Zamra International Convention & Exhibition Centre, Kalamassery; one person died and several others were injured in an explosion here. pic.twitter.com/RILM2z3vov
— ANI (@ANI) October 29, 2023
এদিন বিস্ফোরণের পর ডিএসপি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় সেখানে। কী কারণে বিস্ফোরণ তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। কনভেনশন সেন্টারে একাধিক বিস্ফোরণের কথা সরকারিভাবে স্বীকার করেনি কেরালা পুলিশ। নেপথ্যে জঙ্গি হামলার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।
প্রায়. ২ হাজার মানুষ কালামাসেরির জামরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন ও প্রদর্শনী সেন্টারে জমায়েত করেন। এখানে তিনদিন ব্যাপী ‘জিহোবাজ উইটনেস’ (জিহোবার সাক্ষী) শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এটি খ্রিস্টানদের অন্যতম পবিত্র ধর্মীয় উৎসব।
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্য়মকে বলেন, ‘কনভেনশন সেন্টারের মধ্যে আমরা সবাই প্রার্থনায় মগ্ন ছিলাম। তখন হঠাৎই পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে হল। তিন থেকে চারটি বিস্ফোরণ হয়েছে। পড়ি মড়ি করে দৌড়ে কোনও মতে বাইরে এসে প্রাণে বেঁচেছি।’