আলোচনা সদর্থক করতে অভিভাবক হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী থাকুন। স্বাস্থ্য ভবন বা নবান্ন যে কোনও জায়গায় হোক বৈঠক। কিন্তু মিডিয়ার সামনে আলোচনা হতে হবে। সুরক্ষার দাবি আমাদের মূল দাবি নয়। বাকি দাবিকে মান্যতা দিয়ে বৈঠকে আমরা আগেও রাজি ছিলাম, এখনও আছি। দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের
জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, “এটিকে আমাদের জেদ বলে মনে করা হলে, কিছু বলার নেই। জেদ বললে বিষয়টি ছোট করা হচ্ছে। এই নারকীয় ঘটনার উদ্দেশ্য অজানা। যতক্ষণ না এটি জানতে পারছি, এই অপরাধীদের না ধরা হচ্ছে, ততক্ষণ কর্মবিরতি চালিয়ে যাব। সিবিআই তদন্তের দিকে তাকিয়ে আছি। আমরা সারা রাত অপেক্ষা করবে। আমাদের তরফে ইমেল পাঠানো হচ্ছে, তার জবাবের অপেক্ষা করছি। আমারও চেয়েছি খোলা মনে সবার সামনে আলোচনা হোক। মুখ্যমন্ত্রী অভিভাবক, সেক্ষেত্রে উনি থাকবেন কি না, তার নিশ্চয়তা নেই। এটা কোনও জেদ নয়, এটা অধিকার।”
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে স্বাস্থ্য প্রতি মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দিলেন, কোনও শর্ত দিয়ে আলোচনা হয় না। নবান্ন চায় খোলামনে আলোচনায় আসুন জুনিয়র ডাক্তাররা।
চন্দ্রিমা আরও বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের কথা শুনে মনে হচ্ছে, তাঁরা রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত হচ্ছেন। এভাবে রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয় না। আমরা চাই, আপনারা রাজনীতির খেলা ছেড়ে খোলামনে আলোচনায় আসুন।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দুপুরে মুখ্যসচিব মেল করে নবান্নে আসার জন্য আহ্বান জানালেন ১২-১৫ জনকে। কিন্তু সেই মেলের উত্তর এল প্রায় দু’ঘণ্টা পরে। সেখানে কিছু শর্ত দেওয়া হল। সেটি লাইভ টেলিকাস্ট হবে, মুখ্যমন্ত্রীকে থাকতে হবে, তাঁদের দাবিগুলি নিয়েই কথা বলতে হবে। আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, রাজ্য সরকার খোলা মনে বসতে চাইছে। কোনও শর্ত সাপেক্ষে নয়। খোলা মন এবং শর্ত— দু’টি একসঙ্গে চলতে পারে না।