নবান্ন অভিযানে বেরিয়ে বিজেপির নেতা কর্মীরা গতকাল রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। শুভেন্দুর গ্রেফতারির বিরোধিতায় নবান্ন অভিযান একটা সময় কার্যত লালবাজার অভিযানে পরিণত হয়েছিল। লালবাজারের পাশেই মহাত্মা গান্ধী রোডে পুলিশের গাড়িতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগুন। বহু পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের প্রহারে। তাঁদেরই মধ্যে একজন মধ্য কলকাতার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। তাঁর একটি হাত ভেঙে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আজ তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যাবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
লালবাজার সূত্রে খবর, দেবজিৎকে মারধরের ঘটনায় বেলেঘাটার বাসিন্দা ৩৫ বছরের রবিকান্ত সিংহ, নিউ মার্কেট থানা এলাকা ২২ বছরের অনুপ সিংহ এবং এন্টালি থানা এলাকার শম্ভুবাবু লেনের বাসিন্দা ২২ বছরের সাহিল রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Kestopur Murder: কেষ্টপুরকাণ্ডে হাওড়া স্টেশনে গ্রেফতার মূল চক্রী সত্যেন্দ্র
মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান চলাকালীন একটি ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, এমজি রোডে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দেবজিৎ। মাথায় হেলমেট। আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে লাঠি, পাথর হাতে ছুটে যান কয়েক জন বিক্ষোভকারী। তাঁদের অনেকেরই হাতে বিজেপির পতাকা ছিল। শুরু হয় এলোপাথাড়ি মারধর। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, উন্মত্ত জনতার হাত থেকে বাঁচতে দৌড়চ্ছেন দেবজিৎ। বিক্ষোভকারীরা তাঁর পিছু নিয়ে মারছেন। বিজেপির পতাকাধারীরা তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারতে শুরু করেন। এর পর ভিড়ের মধ্যে থেকে দুই পুলিশকর্মী দেবজিৎকে কোনও রকমে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যান।
অন্য দিকে, এমজি রোডেই পুলিশের গাড়িতেও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। সেখানেও বিজেপির পতাকাধারীদেরই গাড়ি ভাঙচুর করে তাতে তেল ঢেলে আগুন লাগাতে দেখা যায়। সেই ঘটনাতেও এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লালবাজার সূত্রে খবর, তিনি বাগুইআটি থানা এলাকার বাসিন্দা। ৪১ বছরের ধৃতের নাম অভিজিৎ রায়।