ভরসন্ধেয় পার্কস্ট্রিটে বার্স্ট ফায়ার, এমএলএ হস্টেল থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে চলল ২০-২৫ রাউন্ড গুলি!
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা-৭টা নাগাদ ভারতীয় জাদুঘর যেন রণক্ষেত্র৷ আচমকাই ভারতীয় জাদুঘরের পাশে সিআইএসএফ ব্যারাক থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান বাকি জওয়ানরা। দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজন। অভিযোগ, কর্তব্যরত সহকর্মীদের নিশানা করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান গুলি চালিয়েছেন। ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর। ওই সূত্র মারফতই জানা গিয়েছে, গুলি চালনার ঘটনায় আর এক জন আহত হয়েছেন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে ট্রমা বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে কলকাতা বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পুুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় দেড় ঘণ্টার অপারেশন শেষে আটক করা হয় হামলাকারীকে। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: SSC Scam: পার্থকে জোকায় জুতো ছুঁড়লেন মহিলা! বললেন, টাকে লাগলে শান্তি পেতাম
জানা যায়, গুলি চালানোর পর আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে বারাক চত্বরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল হামলাকারী৷ ফলে প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছেও ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি পুলিশ৷ আততায়ীকে নিরস্ত্র করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দল। পৌঁছয় কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল অ্যাকশন ফোর্স এবং সিআইএসএফের স্পেশ্যাল অ্যাকশন ফোর্স এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনার (CP) বিনীত গোয়েল।
তাঁরা সকলে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে ড্রাগন লাইট হাতে নিয়ে ভিতরে ঢোকেন। আত্মসমর্পণের জন্য শর্ত দেয় জওয়ান। বলে, পুলিশকে নিরস্ত্র অবস্থায় কথা বলার শর্ত দেয়। অতঃপর, ডিসি সেন্ট্রালের নেতৃত্বে দল গঠন করে অভিযুক্তর সঙ্গে কথা বলা হয়। তাকে বুঝিয়ে নিরস্ত্র করে আটক করা হয়। এরপরের দৃশ্য রীতিমতো চমকে দেওয়া! যখন পুলিশ অভিযুক্ত জওয়ানকে আটক করে গাড়িতে তুলছে, তখন হামলাকারীর মুখে হাসি, রীতিমতো হাত নাড়ছে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে! বিন্দুমাত্র অনুতাপ নেই!
মৃত্যু হয়েছে সিআইএসএফের এএসআই রঞ্জিত ষড়ঙ্গির। আহত জওয়ানের নাম সুবীর ঘোষ। সামনে থাকা পুলিশের গাড়ির কাচও এলোপাথাড়ি গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Dumdum: বিয়ের দু’সপ্তাহ পরই বাগুইআটিতে তরুণীর রহস্যমৃত্যু, স্থানীয়দের বক্তব্যে পরতে পরতে রহস্য