শহরে ফের উদ্ধার বিপুল টাকা। কয়েক ঘণ্টা তল্লাশির পরে পাহাড়প্রমাণ টাকার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। গার্ডেনরিচের পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়ির খাটের নিচ থেকে প্যাকেটবন্দি নোট উদ্ধার করা হয়েছে। টাকা গোনার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। এরপর শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সূত্রের খবর, নিসার খানের পরিবহণ ব্যবসার পাশাপাশি আমদানি-রফতানিরও ব্যবসা রয়েছে। আজ সকালে যখন গোয়েন্দারা তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালান সেই সময় মেলে পাঁচশ ও দু’হাজারের বান্ডিল-বন্ডিল নোট। খাটের তলা থেকেও উদ্ধার হয় নগদ টাকা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে সাত কোটি টাকা। তবে এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: NCRB Report: বধূ নির্যাতনে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতায় তুলনামূলক কম
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইডি জানিয়েছে, নিসার আহমেদ খানের ছেলে আমির খানের বিরুদ্ধে পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি প্রতারণা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমির-সহ একাধিক ব্যক্তির একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে বহু গ্রাহককে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে মামলা রুজ করা হয়েছে। এই মামলার তদন্তে নেমে শনিবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি।
ইডির দাবি, ‘ই-নাগেটস’ নামে একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নিতেন আমিররা। প্রাথমিক ভাবে ওই অ্যাপের মাধ্যমে খেলায় অংশগ্রহণকারী গ্রাহকেরা কমিশন পেতেন। অ্যাপটির মাধ্যমে নিজেদের ওয়ালেটে অনায়াসে সেই টাকাও তুলতে পারতেন। এ ভাবেই গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জনের পর আমিররা তার ফায়দা তুলতেন বলে ইডির দাবি। আরও মোট কমিশনের লোভে গ্রাহকেরা বড়সড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করলে আচমকাই টাকা তোলা বন্ধ হয়ে যেত বলে অভিযোগ।
শনিবার তল্লাশি অভিযানের সময় একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ইডি। এ দিকে, গোটা বাড়িটি ঘিরে রেখেছে সিআরপিএফ জওয়ানরা। পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও জওয়ান মোতায়েন রয়েছে গোটা এলাকায়। ইতিমধ্যে ইডির তরফে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। টাকা গোনার মেশিনও নিয়ে আসা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: Kestopur Murder: কেষ্টপুরকাণ্ডে হাওড়া স্টেশনে গ্রেফতার মূল চক্রী সত্যেন্দ্র