কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ব্যাকফুটে ইডি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অর্থবহ তথ্য বা নথি দেখাতে ব্যর্থ ED। শর্তসাপেক্ষে রক্ষাকবচ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদিও ইডি ECIR বাতিলের আবেদন খারিজ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘‘তদন্ত চলছে। এই পরিস্থিতিতে ইসিআইআর খারিজের আবেদন অপরিণত অবস্থায় রয়েছে। তাই এই নিয়ে আদালত এখনই কোনও নির্দেশ দেবে না।’’
স্কুলের নিয়োগ মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেতে ইডির ইসিআইআর বা এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফর্মেশন রিপোর্ট (ইডির করা অভিযোগ) থেকে নিষ্কৃতি পেতে ইডির ইসিআইআর খারিজ চেয়ে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন অভিষেক। ওই মামলার সঙ্গে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির অফিসে ইডির তল্লাশির বিষয়টিও যুক্ত হয়। এই মামলায় শুক্রবার অভিষেককে রক্ষাকবচ দিল আদালত।
নিজেদের ECIR এর ভিত্তিতে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি ইডি। কেবল দেখিয়েছে কালীঘাটের কাকুর কিছু বক্তব্য; যেখানেও প্রশ্ন আছে বিশ্বাসযোগ্য নিয়ে! এতদিন ধরে তদন্ত করে কি বেরোলো তাহলে? একটা ছেলেকে চারবার ডেকেও “নো প্রুফ”!
বড় স্বস্তি লাগছে ভেবে যে সবাই “বিকাশদার পায়ের কাছে” বসে নেই। এখনো…
— Debangshu Bhattacharya Dev (@ItsYourDev) September 22, 2023
আরও পড়ুন: Nusrat Jahan: ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণা, নুসরতকে তলব করল ইডি
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার এবং তাঁর সঙ্গে যোগসূত্র ছাড়া অভিষেকের বিরুদ্ধে আরও কোনও তথ্যপ্রমাণ আদালতের সামনে তুলে ধরতে পারেনি ইডি। শুক্রবার আদালতের রায় প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘প্রথম থেকেই স্বয়ং অভিষেক স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, তিনি বিন্দুমাত্র অপরাধ করেননি। যদি করে থাকেন, কেউ এক ইঞ্চি প্রমাণ দেখাতে পারলে, তিনি স্বেচ্ছায় শাস্তি বরণ করে নেবেন। আদালত বলেছে, কোনও অর্থবহ প্রমাণ অভিষেকের বিরুদ্ধে দেখানো যাচ্ছে না। তাতে তো অভিষেকের কথার প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। জোর করে অভিষেককে জড়ানো যাচ্ছে না। বিজেপি যেভাবে এজেন্সিকে দিয়ে অভিষেকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ আক্রমণ চালাচ্ছে, সেটা আবার প্রকাশ্যে এল। তা আদালতের রায়েই প্রমাণ হল।’’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বস্তির পর মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। এদিন এক্স মাধ্যমে দেবাংশুর তোপ, নিজেদের ইসিআইআরের ভিত্তিতে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি ইডি। কেবল দেখিয়েছে কালীঘাটের কাকুর কিছু বক্তব্য। সেখানও প্রশ্ন রয়েছে বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। তদন্ত করে কী বের হল তাহলে। একটা ছেলেকে চার বার ডেকেও নো প্রুফ! বড় স্বস্তি লাগছে ভেবে যে সবাই “বিকাশদার পায়ের কাছে” বসে নেই। এখনও আইনের চোখ বাঁধা, কেবল হাতের দাড়িপাল্লাই প্রমাণের ওজন মেপে নেয়।
আরও পড়ুন: Extramarital Affair: ঘনিষ্ঠ ছবি ভাইরাল করার হুমকি! কলকাতার রাস্তায় গায়ে আগুন দিয়ে মৃত্যু মহিলার