ফের তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে ফিরলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দলের সহ-সভাপতি হলেন যশোবন্ত সিনহা, সুব্রত বক্সি ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কোষধ্যক্ষ অরূপ বিশ্বাস। জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক শেষে ঘোষণা করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
গত কয়েকদিন ধরে নানা জল্পনা চলেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে। দলের অন্দরে তাঁর অবস্থান ঠিক কী হবে তা নিয়ে নানা কথা উঠেছিল দলের অন্দরে। আর শুক্রবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ফের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে বসানো হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। সূত্রের খবর, বৈঠকের আগে মমতা ও অভিষেকের মধ্যে একান্তে কথা হয়। বৈঠকে অভিষেকের উপরেই আস্থা রাখলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। এতদিন যেভাবে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন, তেমন ভাবেই একক দায়িত্বে ফের একবার দেখা যাবে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকে।
তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে। সেই সঙ্গে দলের জাতীয় মুখপাত্রের ভূমিকায় থাকবেন সুখেন্দু শেখর রায় এবং লোকসভার দায়িত্বে থাকছেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তৃণমূল সূত্রে খবর, জাতীয় কর্মসমিতি বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে আলাদা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করা হবে কর্মসমিতির সদস্যদের নিয়ে। ওই গ্রুপে নিয়মিতভাবে সদস্যরা নিজেদের মতের আদান প্রদান করবেন।
আরও পড়ুন: প্রেমের সপ্তাহে আবারও সাত পাকে বাঁধা পড়লেন মদন মিত্র, চিনে নিন পাত্রীকে
দেখে নেওয়া যাক কে কোন দায়িত্বে থাকছেন –
কোষাধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে – অরূপ বিশ্বাসকে।
সাধারণ সম্পাদক পদে থাকছেন – অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সমন্বয়কারী – ফিরহাদ হাকিম।
আর্থিক নীতি নির্ধারক – যশোবন্ত সিনহা, অমিত মিত্র সহ অন্যান্যরা।
জাতীয় মুখপাত্র – সুখেন্দু শেখর রায়।
রাজ্যসভায় মুখপাত্র – সুখেন্দু শেখর রায়।
লোকসভায় মুখপাত্র – কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে সংগঠনের দায়িত্বে – সুষ্মিতা দেব, মুকুল সাংমা, সুবল ভৌমিক।
দলের সহ সভাপতির দায়িত্বে থাকছেন – যশোবন্ত সিনহা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও সুব্রত বক্সি।
আরও পড়ুন: Jodhpur Park: চাঁদার জুলুম খাস কলকাতায়! ক্যাফে-মালকিনের অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা সহ ৫