বাংলাদেশ ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার ও জামিন নাকচের পর অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। ঢাকা, রংপুর, চট্টগ্রামে আগুন জ্বলছে। পথে নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। ইতিমধ্যেই ভারত সরকার এ নিয়ে কড়া বিবৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশের হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুধবার দিল্লি থেকে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন। বাংলাদেশের ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ ও ‘নিন্দনীয়’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। স্পষ্ট জানান, যে কোনও আন্তর্জাতিক বিষয়ে কেন্দ্রের অবস্থানকে সমর্থন জানাবে তৃণমূল।
বাংলাদেশ নিয়ে অভিষেক কৌশলগতভাবেই এর বেশি কিছু বলতে চাইনি। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সেটাই দস্তুর। তবে এও ঠিক যে, বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নের উৎকন্ঠাও বাড়ছে। কারণ, এই ঘটনার জেরে এপার বাংলায় নতুন করে শরণার্থী সমস্যা মাথা তোলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তবে এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে নবান্নকে এখনও কোনও অ্যাডভাইজারি পাঠানো হয়নি। নবান্নের এক আমলার কথায়, বিদেশ মন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিশ্চয়ই গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে।নবান্নের এক আমলার কথায়, বিদেশ মন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিশ্চয়ই গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে। আমরাও কেন্দ্রের অ্যাডভাইজারির অপেক্ষায় রয়েছি। কারণ, যেভাবে পড়শি দেশে অশান্তি ছড়িয়েছে তা নতুন করে অস্থিরতা করতে পারে।
তবে হাসিনা সরকারের পতনের সময় তৃণমূল ঠিক যে ভাবে ভারত সরকারের অবস্থানের সমর্থনে থেকেছে, এ বারও সেই পথেই যে থাকছে, অভিষেকের মন্তব্যে তা স্পষ্ট।