আপাতত ধরনা প্রত্যাহার করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তবে কেন্দ্র দাবি না মানলে ১ নভেম্বর থেকে ফের ধরনায় বসবে তৃণমূল। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কেন্দ্রকে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিয়েছেন তিনি। ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার বকেয়া টাকা কবে ছাড়বে কেন্দ্র, তা জানানোর সময় বেঁধে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
সোমবার বিকেল ৪টেয় রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে অভিষেক-সহ তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। বৈঠকের পরেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন রাজ্যপাল। কী হয়েছিল সেই বৈঠকে, সেই বিষয়ে দুই পক্ষই জানিয়েছে। যদিও সন্ধ্যায় রাজভবনের উত্তর গেটে ধর্নামঞ্চ থেকে অভিষেক জানান, রাজ্যপাল আসলে কী উত্তর দিয়েছেন, তা তিনি মানুষকে জানাতে চান। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যপাল যে উত্তর দিয়েছেন, কেউ জানেন না। তিনি কথা দিয়েছেন, দু’সপ্তাহ নয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করবেন। আমি যতদূর শুনেছি, ইতিমধ্যে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি। আশা করছি, এর বিহিত উনি করবেন।’’
আরও পড়ুন: Mysterious Death: দরজার তলায় চাপ চাপ রক্ত, ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার মহিলার নগ্ন দেহ
তার পরেই অভিষেক জানান, রাজ্যপাল আশ্বাস দিলেও তিনি আরও ২৪ ঘণ্টা ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বারণ করেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা। তিনি বলেন, ‘‘কল্যাণদা (বন্দ্যোপাধ্যায়) অনুরোধ করেছেন। শোভনদা (চট্টোপাধ্যায়) , সুদীপদা (বন্দ্যোপাধ্যায়), সৌগতদা (রায়)-র সঙ্গে কথা বলেছি। দলনেত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। আরও ২৪ ঘণ্টা বসতে চেয়েছিলাম। নেত্রী বলেছেন, যেহেতু উনি সৌজন্য দেখিয়েছেন, বাংলারও সৌজন্য দেখানো উচিত।’’
অভিষেক জানালেন নেত্রীর সেই নির্দেশ মেনেই সোমবার সন্ধ্যায় ধর্না প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এর পরই কেন্দ্রকে সময় বেঁধে দেন অভিষেক। বলেন, “২ সপ্তাহ পর নবমী। তার পর দশমী, লক্ষ্মীপুজো শোভাযাত্রা। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিচ্ছি। তার মধ্যে জবাব না এলে আবার ১ নভেম্বর থেকে আন্দোলন চলবে যতদিন না টাকা আসছে। একটা মানুষকে আমরা ভাতে মরতে দেব না।” তিনি বলেন, ‘‘১ নভেম্বর যখন রাস্তায় নামব, অভিষেকের নেতৃত্বে নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। ৫০ হাজার মানুষ হাঁটবেন, সামনে মমতা।’’