আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (Alia University) নিয়ে গত দুদিন ধরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তৃণমূলের ছাত্রনেতা গিয়াসুদ্দিন মণ্ডলকে লাগাতার কটুক্তি, গালিগালাজ করার ভিডিও এখন তুমুল ভাইরাল। এর মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে আরো একটি অডিও ক্লিপ যা নিয়ে নতুন করে কানাঘুঁষো শুরু হয়েছে।
পড়ুয়াদের দাবি, ওই ফোনালাপে অংশ নেওয়া দুই ব্যক্তি তৃণমূলের ছাত্রনেতা। একজন আলিয়ার প্রাক্তনী এবং অন্য জন তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া। ফোনের এক প্রান্ত থেকে বলতে শোনা যায়, উপাচার্যকে তিনি নিজেই বের করে দেবেন। শুধু সঙ্গে এক জন লাগবে। এও বলা হয়, এ নিয়ে ফিরহাদ হাকিম, গোলাম রব্বানির মতো রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের কথাও হয়েছে।
ক্লিপটিতে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পড়ুয়া সাহেব আলি এবং জুয়েল রানার কথোপকথন । এই কথোপকথনের তর্জমা করলে দাঁড়ায়, যতদিন পর্যন্ত এই উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় থাকবেন, ততদিন তারা ক্যাম্পাসে কোনও কাজ বা ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না । তাই যে কোনও প্রকারেই এক সপ্তাহের মধ্যে উপাচার্যকে সরাতে হবে ৷
আরও পড়ুন: বিশ্ববাংলা তৃণমূলের নয়, বাংলার সরকারের লোগো : মুখ্যমন্ত্রী
অডিও ক্লিপে উপাচার্য সম্পর্কে একটি কণ্ঠকে বলতে শোনা যায়, তিনি নিজেই উপাচার্যকে বের করে দেবেন। শুধু সঙ্গে আর একজনকে লাগবে। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে গোলাম রব্বানি ও ববিদার (ফিরহাদ হাকিম) সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। দুজনেই তাঁকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছিলেন। নতুন কোন উপাচার্য আসবেন। পুরনো জন এখন সায়নী ঘোষের মাধ্যমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজের মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টায় রয়েছেন। এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি The News Nest। এই অডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরই বিতর্কের ঝড় শুরু হয়েছে ক্যাম্পাস-সহ শিক্ষা মহলে ।
অন্যদিকে, জিম নওয়াজ স্বীকার করেছেন যে ভাইরাল অডিওতে কণ্ঠস্বর তাঁরই। কিন্তু কথোপকথনটি আট মাস আগেকার। সে সময়ে আন্দোলন চলছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাম্প্রতিক ঘটনার সঙ্গে এর কোনো যোগাযোগ নেই।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: বেনজির জট! এসএসসি, গ্রুপ ডি-সহ ১০টি মামলা থেকে সরল ডিভিশন বেঞ্চ