বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার আসলে বাংলাদেশি। সিঙ্গল বেঞ্চের পর একথা জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও।
একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ২০০৪ ভোটে পরাজিত হন আলোরানি মজুমদার। হেরে যাওয়ার পর গিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। ভোটের ফল নিয়ে বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছিলেন। দাবি করেন, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। ওদিকে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, আলোরানি ভারতের নাগরিকই নন। তিনি আদপে বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশের ভোটার লিস্টে তাঁর নাম রয়েছে। একথা জানিয়ে আদালতে নথি পেশ করে বিজেপি। বিজেপির দেওয়া তথ্য মিথ্য বলে দাবি করলেন তার স্বপক্ষে কোনও নথি পেশ করতে পারেননি আলোরানি। যার ফলে ২০২২ সালের ২২ মে আলোরানির আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।
আরও পড়ুন: BJP Bandh: কালিয়াগঞ্জের আক্রান্ত সিভিক পুলিশের মৃত্যু, ১২ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গ বন্ধের ডাক দিল বিজেপি
আলোরানির বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, দায়িত্বশীল দল হিসাবে কখনই একজন বাংলাদেশিকে ভারতের রাজনৈতিক দলের প্রার্থী করা যায় না। আলোরানিকে ভারত থেকে বিতাড়িত করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লেখাও হয়েছিল। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আলোরানি। তাতে ডিভিশন বেঞ্চ মামলা শুনেই স্পষ্ট করে দেয়, এই মামলা রক্ষণীয় নয়। তাঁর দায়ের করা নির্বাচন সংক্রান্ত পিটিশন খারিজ করে দিল ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, বিজেপি স্বপন মজুমদারের হয়ে মামলা লড়েছিলেন জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের আইনজীবী জাগৃতি মিশ্র। তিনিই আদালতকে তথ্য দিয়ে জানিয়েছিলেন, আলোরানি বাংলাদেশের বাসিন্দা। বাংলাদেশেই তাঁর বিয়ে হয়েছে। সেখানেই তাঁর স্বামী থাকেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন আলোরানি। বিচারপতি জানান, ভারতের সংবিধানে দ্বৈত নাগরিকত্বের কোনও জায়গা নেই। ফলে মামলাকারী নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে দাবি করতে পারেন না। এরপরই সাংবাদিক সম্মেলন করে আলোরানি সরকারকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করার দাবি তুললেন বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) বিধায়ক স্বপন মজুমদার৷
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল যুবকের, অবরুদ্ধ দিঘাগামী জাতীয় সড়ক