দশ বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চিটফান্ড মামলার তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। পরে তদন্তে নেমেছিল ইডিও। সেই তদন্ত মধ্যিখানে একটা বড় সময় যেন শীত ঘুমে চলে গেছিল। লোকসভা ভোটের আগে সেই মামলা ফের জেগে উঠল। কদিন আগে বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডির অফিসাররা। এবার চিটফান্ড তদন্তের সূত্রে তলব করা হল রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে।
ইডি সূত্রের দাবি, ২০১৪ সালের ভোট প্রচারের সময় ‘চিটফান্ড’ অ্যালকেমিস্টের তরফে তৃণমূলের কিছু টাকা মেটানো হয়েছিল। কেন এই লেনদেন, সেই সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতেই তৃণমূলের বর্তমান কোষাধ্যক্ষ অরূপকে ইডি তলব করেছে বলেই খবর। বিষয়টি নিয়ে অরূপ প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের বক্তব্য তিনি ইডিকে জানিয়েছেন চিঠি দিয়ে।
অরূপের তলব নিয়ে বিজেপিকে বিঁধেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করছে বিজেপি।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘মিঠুন চক্রবর্তীকে কেন ধরা হবে না অ্যালকেমিস্ট মামলায়?’’ তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘আইনকে আইনের পথে চলতে দেওয়া উচিত। কোনও বক্তব্য থাকলে আদালতে যেতে পারে তারা।’’
অ্যালকেমিস্ট মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ কেডি সিং। ইডি সূত্রে খবর, তাঁরই সংস্থা ছিল ‘অ্যালকেমিস্ট ইনফ্রা রিয়্যালটি’। সেই সংস্থার বিরুদ্ধে লগ্নিকারীদের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে টাকা তোলার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। ইডি ২০১৬ সালে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। অভিযোগ ছিল, সেবি-র অনুমতি ছাড়াই ওই সংস্থাটি লগ্নিকারীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা তুলেছে। তদন্তে নেমে ২০১৯ সালে কেডি-র কুফরির রিসর্ট, চণ্ডীগড়ের শো-রুম, হরিয়ানার পঞ্চকুলার সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ ২৩৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি।