গত রবিবার রাত থেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির স্থায়ী লকআপে আছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আর সেই সিজিও কমপ্লেক্সেই মঙ্গলবার নিয়ে আসা হয়েছে তাঁর ‘প্রিয় বন্ধু’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন আছেন সিজিও কমপ্লেক্সের সাত তলার অস্থায়ী লকআপে। অন্যদিকে তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও আছেন সেই একই ছাদের তলার স্থায়ী লকআপে।
ইডির সেলে ঘুম আসছে না অর্পিতার। অন্যসময় যেখানে দিনে পাঁচবার পোশাক পরিবর্তন করেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, সেখানে ইডির হেফাজতে আসার পর একই পোশাকে রয়েছেন তিনি। শনি-রবি-সোম তিনদিনই লাল টি-শার্ট ও সাদা স্রাগেই দেখা যায় অর্পিতাকে। কোনো খাবারই মুখে তুলছেন না তিনি। মাঝে মাঝেই কাঁদছেন।
সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির স্থায়ী লকআপে একসঙ্গে চারজনকে রাখার ব্যবস্থা থাকলেও আপাতত অর্পিতাকে একাই রাখা হয়েছে সেখানে৷ এই লকআপে রয়েছে দু’টি ফ্যান, অ্যাটাচ টয়লেট এবং চারটে বিছানা৷ গতকাল দিনভর ইডির জেরার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকেও।
আরও পড়ুন: Amartya Sen: রাজ্য সরকারের ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মান নিচ্ছেন না অমর্ত্য সেন
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ ও অর্পিতা, দু’জনকেই সিজিও কমপ্লেক্সের ক্যান্টিনের খাবার দেওয়া হচ্ছে। পার্থর হাই সুগারের কথা মাথায় রেখে তাঁকে ভাত না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইডি কর্তারা। কিন্তু পার্থ ভাত খেতে চেয়েছেন। অন্যদিকে, অর্পিতা ক্যান্টিনের খাবার খেতে অস্বীকার করছেন বারে বারে। তিনি নাকি কাজু, পেস্তা খেতে চেয়েছেন। তবে ইডি তাঁর আপত্তি কানে তোলেনি।
আদালতের নির্দেশ মেনে বুধবার সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিজিও কমপ্লেক্স থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পার্থ-অর্পিতাকে। আদালতের নির্দেশ ছিল, হেফাজতে থাকাকালীন প্রতি ৪৮ ঘণ্টা অন্তর তাঁদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে হবে। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে তাঁরা সেখানে পৌঁছন। সেখান থেকে ফিরলেই ফের শুরু হবে জিজ্ঞাসাবাদ। এদিন তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে৷ তবে ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতা জেরায় পূর্ণ সহযোগিতা করলেও এখনও পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করছেন না।
আরও পড়ুন: দিঘায় সাত দিনেই উঠল ৮০ টন ইলিশ ! সাধারণের পাতে পড়বে কি, প্রশ্ন সেখানেই