Arpita Mukherjee said Partha Chatterjee in mastermind of recruitment scam

Arpita Mukherjee: টাকা পার্থর, উনিই দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড, জামিন চেয়ে আদালতে অর্পিতা

তাঁর ফ্ল্যাট থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরই। সোমবার জামিনের আবেদনের শুনানিতে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এই কথা জানালেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে তিনি দাবি করেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে দিয়ে জোর করে সই করিয়ে নিয়েছেন পার্থ।

আদালত সূত্রে খবর, এদিন সিবিআই আদালতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি হয়। তখনই নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও তাঁর আইনজীবী। বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট অনন্ত টেক্সফ্যাবের রেজিস্টারর্ড অফিস প্রসঙ্গে অর্পিতা বলেন, “বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট অনন্ত টেক্সফ্যাবের রেজিস্টারর্ড অফিস ছিল। আমার সাথে অনন্ত টেক্সফ্যাবের সম্পর্ক কি! আমাকে ব্যবহার করা হয়েছিল অনন্ত টেক্সফ্যাবের শেয়ার ট্রান্সফার করার জন্য। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর মৃত্যুর পর মেয়ে বিদেশে থাকায় এটা করা হয়। পার্থ-ঘনিষ্ঠ একজন জোর করে এটা করেছিল। ওই সংস্থার সব ক্ষমতা পার্থর হাতেই ছিল।” তাঁর ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় অর্পিতা এদিন বলেন, “বিভিন্ন সংস্থায় থাকা টাকা পার্থর, আমার নয়। ED-র তদন্তই তাই বলছে। নগদ আর গয়না যেগুলি উদ্ধার হয়েছে সেগুলিও অনন্ত টেক্সফ্যাবের। এটা ED-র তদন্তে প্রকাশ হয়েছে। ওই সংস্থার ১০০ শতাংশ শেয়ার হোল্ডার পার্থর পরিবারের হাতেই ছিল, সেটা মনোজ জৈন বলেছেন। এই সব সংস্থার সব কাজও হত পার্থর বাড়িতে।” এরপরই অর্পিতার দাবি, “এটা যদি দাবা খেলা হয় তাহলে তার রাজা কে সেটা পরিস্কার। আমার বয়স্ক মা রয়েছেন, আমার পালানোর সম্ভাবনা নেই।”

এদিন আদালতে অর্পিতার জামিনের আবেদন জানিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী।পার্থ ও অর্পিতার যে যৌথ সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে তার মধ্যে মাত্র ৩টির প্রকৃতপক্ষে অর্পিতার মালিকানাধীন। বাকিগুলির নিয়ন্ত্রণ ছিল পার্থর কাছে। এমনকী অর্পিতার যে ৩১টি জীবন বিমা উদ্ধার হয়েছে সেগুলিও পার্থ ভুল বুঝিয়ে পার্থ তাঁর নামে করিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী।

পালটা সওয়ালে ইডির আইনজীবী বলেন, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বিলাসবহুল জীবন যাপন করতে এই দুর্নীতির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছেন। তাঁকে দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে জোর করে সই করিয়ে নিয়েছেন এই মর্মে কোনও অভিযোগ কখনও দায়ের করেননি তিনি। ফলে আমি জানতাম না বলে এখন সাধু সাজলে চলবে না। অর্পিতাকেই ঠিক করতে হবে পার্থ দুর্নীতির রাজা হলে তিনি দুর্নীতির রানি না ভাগ্নী।

এদিন বিচারক দু-পক্ষের সওয়াল জবাব শোনেন এবং অর্পিতার জামিনের রায়দান আপাতত স্থগিত রাখেন। বুধবার, ৩১ মে এব্যাপারে রায় জানাবেন বলে বিচারক জানিয়েছেন।