মনোজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিউচুয়াল ডিভোর্সের পক্ষে রায় দিল আলিপুর আদালত। বিকেল ৫টার মধ্যে বিচ্ছেদের নথি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের এই রায়ের পর বৈশাখীর বন্ধু শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এত দিল পর মুক্তির স্বাদ পেল বৈশাখী।’’
আদালতের বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বৈশাখী বলেন, ‘‘মিউচুয়াল ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেছিলাম। আজ আমাদের শেষ শুনানি ছিল। বিচারক আমাদের সঙ্গে কথা বলে ডিভোর্সের রায় দিয়েছেন। সন্তানের ভরণপোষণের জন্য টাকা দিতে বলছেন ওঁকে (মনোজিৎকে)। তবে আমি জানিয়েছি, সন্তানের খরচ চালানোর মতো ক্ষমতা আমার আছে।’’ শোভন বলেন, ‘‘বৈশাখীর সঙ্গে আমার এত দিনের পরিচয়ে এই প্রথম বৈশাখীকে মুক্তির স্বাদ পেতে দেখলাম। আমিও এই মুক্তির স্বাদের অপেক্ষায় আছি। আজ থেকে চার বছর আগেও বলেছিলাম, আবারও বলছি, যেখানে বুক দেখাই, সেখানে পিঠ দেখাই না।’’
আরও পড়ুন: Jadavpur Fire: একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ, যাদবপুরে কেমিক্যাল ল্যাবে ভয়াবহ আগুন
অনেকের মতে শোভন বোঝাতে চেয়েছেন, তিনিও তাঁর এখনও আইনত স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের থেকে ডিভোর্স চান। কিন্তু রত্না অবশ্য অতীতে বহুবার বলেছেন, সেসবের গল্প নেই। ডিভোর্স ফর্মে কখনও তিনি সই করবেন না। এই ডিভোর্স দেওয়া, না দেওয়া, পর্ণশ্রীর বাড়িতে রত্নার থাকা, তা আবার বৈশাখীর কিনে নেওয়া, কোর্টের নোটিস—এসব নিয়ে কম বাকযুদ্ধ, বিতণ্ডা বাংলা দেখেনি। রাজনীতি আর পারিবারিক মেলোড্রামা মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বৈশাখী-মনোজিতের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা যেমন ‘মিউচুয়ালি’ তেমনটা কি কখনও শোভন-রত্নার ক্ষেত্রে হবে?
চলতি মাসের শুরুতেই কাশ্মীর ঘুরতে গিয়েছিলেন শোভন ও বৈশাখী। সঙ্গে বৈশাখীর মেয়ে মেহুলও ছিল। নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল ভূস্বর্গে তাঁদের বেড়ানোর ছবি। ছবিতে বরফ ছোড়াছুড়ির খেলায় মাততে দেখা গিয়েছিল যুগলকে। গুলমার্গেরও বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছিলেন বৈশাখী। ফেসবুকে সেই ছবির বিবরণীতে তিনি লিখেছেন ‘কাশ্মীর ফাইল্স’।
আরও পড়ুন: SSKM-এ ভর্তি অনুব্রত মণ্ডল, ‘অসুস্থতার জন্য যেতে পারছি না’, CBI-কে চিঠি তৃণমূল নেতার