সরকার বিরোধী আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। বাংলার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘বাংলাদেশে যে ঘটনা, সেই ঘটনায় আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। কিন্তু সেটা নিয়ে এমন কিছু লিখবেন না বা বলবেন না যাতে বাংলা বা ভারতের শান্তি নষ্ট হয়’।
মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, “ভারত একটা দেশ। বাংলাদেশ একটা দেশ। পড়শি রাজ্য, দেশে যাই হোক তা পাশের রাজ্য বা দেশে পড়েই। সেক্ষেত্রে শান্ত থাকতে হবে। সব সন্তানরা ভাল থাকুন। সকলেই আমাদের ভাইবোন। বাংলাদেশের ঘটনায় আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। দুই দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাই আমাদের মূল লক্ষ্য হোক। শান্তি রক্ষা করা হোক।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে এখন যে পরিস্থিতি চলছে, তা বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার এবং ভারত সরকার দেখে নেবে। কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে বলবে আমরা সেভাবেই কাজ করব।”
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে প্রথম দফার কোটাবিরোধী আন্দোলন চলার সময়ে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, সে দেশ থেকে কেউ সীমান্তে এসে আশ্রয় চাইলে তিনি ফিরিয়ে দেবেন না। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে জাতীয় স্তরে যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছিল। এমনকি শেখ হাসিনাও এই কথা সহজভাবে মেনে নেননি। অভিযোগ উঠেছিল, এটা দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রকের ব্যাপার, এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলার এক্তিয়ার নেই।
সেইবার অবশ্য অভিযোগের মুখেও নিজের অবস্থান থেকে সরেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো তিনি ভালই বোঝেন, যা বলেছেন জেনেই বলেছেন। তবে এবার দেখা গেল, আগেভাগেই কাউকে এই বিষয়ে কোনও রকম প্ররোচিত না হতে সতর্ক করলেন মমতা। অনেকেই মনে করছেন, বাংলাদেশের বিপুল গণআন্দোলনের প্রেক্ষিতে যে বিভাজনের চোরা স্রোত বইছে, তার প্রভাব পড়তে পারে এপার বাংলাতেও। সেই কারণেই এই পরিস্থিতিতে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভার বৈঠকেও এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। বৈঠকেও বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রীদের কোনও রকম মন্তব্য করতে বারণ করেছেন তিনি।