Bansdroni: agitation in banshdroni for student death

Bansdroni: ছাত্রের মৃত্যুতে উত্তপ্ত বাঁশদ্রোণী, পে লোডার ভাঙচুর, পুলিশকে তাড়া স্থানীয়দের

দুর্ঘটনার পর কেটে গেছে পাঁচ ঘণ্টা। বিক্ষোভের আঁচ উত্তরোত্তর বাড়ছে বাঁশদ্রোণীতে। স্থানীয় মানুষজন ঘেরাও করে রেখেছেন পাটুলি ও বাঁশদ্রোণী থানার ওসিকে। কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে না এলে পুলিশকে ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন এলাকার মানুষ।

মহালয়ার ভোরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হয় নবম শ্রেণির ছাত্রের। সৌম্য শীল নামে ওই পড়ুয়া সাইকেল নিয়ে পড়তে যাচ্ছিল। পিছন থেকে আসা একটি জেসিবিকে যাওয়ার জন্য রাস্তা ছেড়ে পাশে দাঁড়ায়। দীনেশ নগর অটো স্ট্যান্ডের সামনে একটি গাছের গোড়ায় সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়েছিল সে। পে লোডার বা জেসিবিটি যাওয়ার সময় পড়ুয়াকে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়ে সে। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে নবম শ্রেণির পড়ুয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাঁশদ্রোণী।

খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তাদেরকে ঘিরেই বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে ওই এলাকার রাস্তার অবস্থা বেহাল। স্থানীয় কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারকে বারংবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বছর তিন ধরে ওই রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছে। ফলে সেখানকার অবস্থা খুবই খারাপ। চারপাশে গর্ত। সামান্য বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। রাস্তা দিয়ে পায়ে হাঁটাই বিপজ্জনক। গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা তো দুর্বিষহ ব্যাপার ।

ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলছে ওই এলাকায়। দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে অনিতা বলেন, ‘‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক। নিকাশি এবং রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল। তাই সেখানে জেসিবি রাখা ছিল। তার একটাতেই ধাক্কা লেগে ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।’’ তবে ওই রাস্তা সারাইয়ের কাজ পুরসভা করছিল না বলেই জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘দায়িত্ব ছিল ঠিকাদার সংস্থার।’’