এক ব্যক্তির যৌনাঙ্গ কেটে নিলেন তাঁর লিভ-ইন সঙ্গিনী। বেহালার ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের দক্ষিণ চট্টায় পারিবারিক বিবাদের জেরে ওই ব্যক্তির যৌনাঙ্গ কেটে নিলেন ওই মহিলা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা স্বামী-সন্তান নিয়ে ঘর করছিলেন। কিন্তু পাশে বাড়িতে ভাড়া আসা যুবকের সঙ্গে প্রেম হতেই সংসার ত্যাগ। ওই যুবকের সঙ্গেই আলাদা ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন। পাঁচ বছর ধরে তাঁর সঙ্গেই চলতে থাকে ঘর। স্বামী-স্ত্রীর মতই থাকতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিয়ে করেননি। গত কয়েক বছরে তাঁদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। কিন্তু যে মুহূর্তেই মহিলা তাঁর প্রেমিককে বিয়ের কথা বলতেন, বেঁকে বসতেন তিনি। তা নিয়েই বিবাদ। শেষমেশ প্রেমিকের যৌনাঙ্গই সটান কেটে নিলেন মহিলা!
ওই মহিলা জানান, গত পাঁচ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে বাপি মোল্লার শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে। মহিলা জানান, তিনি বিবাহিত এবং তাঁর দুই পুত্রসন্তানও ছিল। তবে এর পরেও তিনি বাপি মোল্লার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এরপর তিনি দক্ষিণ চট্টা এলাকায় বাপি মোল্লার সঙ্গে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতে শুরু করেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে প্রায়শই মারধর করত বাপি। বাপি কোনও কাজ করত না, মহিলা নিজে স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করে সংসার চালাতেন। আরও অভিযোগ, যখনই বাপিকে এই মহিলা বিয়ে করার কথা বলতেন তখনই তাঁকে মারধর করা হত।
সোমবার রাতে মহিলাকে গালিগালাজ করে বাপি। ভোরবেলাও সেই নিয়ে বিবাদ বাধে। এবং সেই সময়েই ওই মহিলা বাপির যৌনাঙ্গ কেটে দেন। বাপি চিৎকার করে ওঠেন। স্থানীয় লোকজন চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন এবং স্থানীয় পুলিস স্টেশনে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। ওই মহিলাকে আটক করে নিয়ে যায় থানায়। পাশাপাশি বাপি মোল্লাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।