সোমবার সকালে এই স্কুলেরই দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সৌরনীল সরকারকে পিষে দিয়ে চলে যায় একটি লরি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পড়ুয়ার। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বাবারও মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। স্কুলের খুদে পড়ুয়ার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন প্রধানশিক্ষক।কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “পুলিশ যদি সচেতন থাকত, তা হলে আমার ছেলেটাকে হারাতাম না।” তিনি আরও বলেন, “পাশে অন্য বেসরকারি স্কুলের সামনে ট্র্যাফিক পুলিশ থাকে, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে, কিন্তু আমাদের স্কুলের সামনে থাকে না। আমাদের স্কুলে চারচাকা নিয়ে কেউ পড়তে আসে না। আসে সাইকেল নিয়ে। এই স্কুল থেকে অনেকের সাইকেল চুরি হয়েছে অতীতে, চোর ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’’
বড়িশা হাই স্কুলে প্রায় ১০০০ জন পড়ুয়া পড়ে। প্রতি দিন যানজট হয়। তবে তা সামাল দিতে ট্র্যাফিক পুলিশের দেখা মেলে না । ”আমরা যখন বলছি, পুলিশ আসার পর যখন বলছি, ‘লরিটা মেরে বেরিয়ে গেল, আপনারা ধরতে পারলেন না,’ উত্তরে বলছে, ‘নম্বর নেওয়া হয়েছে।’ এত বড় ঘটনার জন্য পুলিশের গাফিলতিই দায়ী।’’
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতার পুলিশ কমিশনার (সিপি) বিনীত গোয়েল। তিনি বলেন, ‘‘যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এমনটা নয় যে ওখানে পুলিশ ছিল না বা থাকে না। অতীতের থেকে এই রাস্তায় বর্তমানে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেছে। সেটা হয়েছে পুলিশ অফিসারেরা সচেতন থাকেন বলেই। কিন্তু কেন এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করা হবে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, তা-ও নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে।’’