দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্বের রোষানলে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষের CBI মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রিপোর্ট তলব করেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। আগেও দিলীপ ঘোষের বেলাগাম একাধিক মন্তব্যের জন্য তাঁকে ‘সেন্সর’ করা হয়েছিল। ফের সিবিআইয়ের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে শীর্ষ নেতাদের বিরাগভাজন হলেন মেদিনীপুরের সাংসদ।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “গত কয়েক মাস ধরে এখানে সিবিআই তদন্ত চলছে। কিন্তু, কেউ ধরা পড়ছিল না। কোনও এফেক্ট পড়ছিল না, কোনও ডকুমেন্ট আসছিল না! এর কারণ কী? সর্ষের মধ্যে ভূত ছিল। খবর আছে, এটা জানার পরেই কিছু অফিসারকে পরিবর্তনও করা হয়েছে। যথারীতি যা হয় আর কী, সবাই বিক্রি হয়। তার দাম থাকে। কেউ লক্ষে হয়, কেউ কোটিতে। সে ভাবে বিক্রি হচ্ছিল। এটা সরকার বুঝতে পেরেছে। আমি যতদূর শুনেছি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বিশেষ প্রয়াসে শেষে ইডি এসেছে। তারপর কাজ শুরু হয়েছে।”
আরও পড়ুন: Hooghly: ফুচকা খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি শতাধিক, পৌঁছল মেডিক্যাল টিম
এরপর সোমবারও ফের নিজের বক্তব্যে অনড় থেকে ফের সিবিআইয়ের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেন দিলীপ। এবার তিনি বলেন, ”সিবিআই দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু ন্যায় পাইনি। ভোটের পর আমাদের ৬০ জন কর্মী মারা গিয়েছেন। কোর্ট বলেছিল সিবিআইকে, তদন্ত করে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে। কিন্তু সিবিআই তো এফআইআর-ই (FIR)দায়ের করতে পারল না। সিবিআই কার, তা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। সিবিআই, ইডি দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে কাজ করে। ইডি অনেক ভাল কাজ করেছে। প্রমাণ করে দিয়েছে, তারাই সবচেয়ে বিশ্বস্ত এজেন্সি।”
প্রসঙ্গত, সিবিআই মূলত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীন, ইডি অর্থমন্ত্রকের। সেই সমীকরণ অনুযায়ী, অমিত শাহর অধীনস্থ সিবিআইয়ের উপর সরাসরিই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দিলীপ। তার ফলও পাচ্ছেন। মন্তব্যের একদিনের মধ্যেই দিল্লি থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। যদিও রিপোর্টের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন স্বয়ং দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, এমন কোন রিপোর্ট চায়নি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: Durga Puja Holidays 2022: পুজোয় ১১ দিন ছুটি ঘোষণা মমতার, ৮ অক্টোবর কার্নিভ্যাল