অভিনেতা অপর্ণা সেনের বিরুদ্ধে পুলিশে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে। গত নভেম্বরে বিএসএফকে নিয়ে অপর্ণার করা এক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এই অভিযোগ করেছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও পঞ্জাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত এবং গ্রেফতার করার ক্ষমতা দেয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-কে। তারই বিরোধিতায় সরব হন অপর্ণা। কলকাতায় প্রেস ক্লাবে ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রশ্ন তোলেন বিএসএফ-এর কাজ নিয়েও।
তাঁর দাবি ছিল, ‘সীমান্তের সামরিকীকরণ চলছে। কেন্দ্রীয় সরকার ওখানে আরও BSF পাঠাচ্ছে। যেন এরা যথেষ্ট নয়। যারা হত্যা করছেন, ধর্ষণ করছেন তাঁরা যথেষ্ট নন।’ অপর্ণা বলেছিলেন, “যে বিএসএফ আছে, তা কি যথেষ্ট নয়। কীভাবে ছিটমহলের মানুষের উপর অত্যাচার হয়। ভাবলেই শিউরে উঠতে হয়।” বিজেপি নেতা কল্যাণের অভিযোগ, ‘‘অপর্ণা বিএসএফ-কে খুনি ও ধর্ষক বলে অপমান করেছেন।’’ এ বার তাঁর সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পুলিশে অভিযোগ জানালেন তিনি।
আরও পড়ুন: GangaSagar Mela 2022: শুভেন্দু-হীন কমিটি গড়ল হাইকোর্ট, জারি হল নতুন নিয়ম
আগেই বিএসএফ-মন্তব্য প্রসঙ্গে অপর্ণাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলে বিজেপি। ক্ষমা না চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হবে বলে অভিনেত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবী। মনে করা হচ্ছে, তার কোনও জবাব না মেলাতেই এ বার কল্যাণের এই পদক্ষেপ।
এর আগে দিলীপ ঘোষও তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তুলেছিলেন। বক্রোক্তি করে বলেছিলেন, “ওঁরা চিরদিন দেশদ্রোহী।” অপর্ণা সেনকে এক হাত নিয়ে তোপ দেগেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। অপর্ণার মন্তব্য প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য ছিল, “একটা কারও দোষ থাকতে পারে। তাই বলে বিএসএফকে অপমান করার অধিকার কারও নেই। ”
আরও পড়ুন: ঘরেই ঝলসে শেষ খুদে প্রাণগুলো, ধ্বংসস্তূপে পাগলের মত খুঁজে চলেছে মা সারমেয়