ফের রাজ্য বিজেপি-তে ভাঙন৷ শাসক দলে যোগ দিলেন বিজেপি-র আরও এক বিধায়ক৷ এবার তৃণমূলে নাম লেখালেন বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালি প্রতিহার৷ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দিলেন কোতুলপুরের বিধায়ক।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন হরকালী প্রতিহার। তৃণমূল করতেন তিনি। বাঁকুড়ার যুব তৃণমূল নেতা সন্দীপ বাউড়ির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তবে দীর্ঘদিন দল করলেও প্রাপ্তির ভাণ্ডার ছিল শূন্য। সেই কারণেই ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেন হরকালী। এরপর ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেয় বিজেপি। জয়ীও হন তিনি। তবে গত কিছুদিন ধরেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি হতে চলেছে বিজেপি বিধায়কের।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের একতরফা ফলের পরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন একের পর এক বিধায়ক৷ যার মধ্যে অন্যতম মুকুল রায়৷ যদিও বর্তমানে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে৷ এ ছাড়াও রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ সহ একের পর এক বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷
কয়েক দিন আগে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালও তৃণমূলে যোগ দেন৷ এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন কোতুলপুরের বিধায়কও৷ তিনি বলেন, ‘রাজ্যে মা মাটি মানুষের সরকার যে উন্নয়নের কাজ করছে, তা স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা নিয়েছে৷ একশো দিনের কাজ, আবাস প্রকল্পের টাকা বন্ধ৷ বিজেপি-তে নীতি, আদর্শ কিছু নেই৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে উন্নয়নে সামিল হলাম৷’ বিধায়করা দল ছা়ড়লেই তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে পদক্ষেপ দাবি করে সরব হয় বিজেপি৷ কিন্তু এখনও দল বদল করা কোনও বিধায়কই পদ থেকে ইস্তফা দেননি৷ ফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপি-র উপরে চাপ বেড়েই চলেছে৷