খাস কলকাতায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে খুন করা হল। এই ঘটনায় শিউরে উঠেছে মহানগরীর মানুষজন। সোমবার রাতে এলগিন রোডের গেস্ট হাউজ় থেকে মিলল ভবানীপুরের অপহৃত ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্যের দেহ। পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন ব্যবসায়ী। এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন এসেছিল সোমবারই। তারপরই দেরি না করে পরিবার যোগাযোর করে থানায়। পুলিশ জানাচ্ছে, গলায় মিলেছে দাগ। শ্বাসরোধ করেই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। সকাল ১০টা নাগাদ গেস্ট হাউসে চেক ইন করে অভিযুক্ত। পরে ব্যবসায়ীকে নিয়ে সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ গেস্ট হাউসে যায় যুবক। প্রায় ৪০ মিনিট পরে গেস্ট হাউস থেকে চেক আউট না করেই বেরিয়ে যায় যুবক। তবে কি ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই খুন? উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: Sealdah Metro: শিয়ালদহ থেকে মেট্রো ছুটবে সেক্টর ফাইভ! চালু হচ্ছে আগামী মাসেই
এদিকে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, অভিযুক্তের সঙ্গে নিজে গেস্ট হাউসে গিয়েছিলেন ব্যবসায়ী। তাঁকে জোর করে গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া কোনও প্রমাণ মেলেনি। কেন স্বেচ্ছায় ওই যুবকের সঙ্গে এলগিন রোডের গেস্ট হাউসে গেলেন শান্তিলাল বৈদ? তবে কি সেই যুবক ব্যবসায়ীর পূর্ব পরিচিত? এমনকি ব্যবসায়ীর কল লগ থেকেও মিলেছে সেই যুবকের ফোন নম্বর।
তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। মঙ্গলবার সকালে এলগিন রোডের ওই গেস্ট হাউজ়ে ঢুকে দেখা গিয়েছে অন্য ছবি। বিছানার চাদর টান টান করে পাতা ছিল। কম্বল খোলা ছিল। পাশের টেবিলে ছিল খাওয়ার প্লেট। আধ খাওয়া খাবার ছিল তাতে। মিলেছে সিগারেট প্যাকেটও। তাই যুবক যে ব্যবসায়ীর পরিচিত, সেটা একপ্রকার নিশ্চিত তদন্তকারীরা। পুলিশ মনে করছে, দুটি কারণ থাকতে পারে। ব্যবসায়ীক কোনও শত্রুতা থাকতে পারে। দ্বিতীয়ত, কোনও ব্যক্তিগত কোনও সম্পর্কের টানাপোড়েনও থাকতে পারে।
আপাতত ব্যবসায়ী খুনে এখন জটাজাল। কোথায় লুকিয়ে রহস্য? তদন্তে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। গেস্ট হাউজ়ের চতুর্দিকে এখন কড়া নিরাপত্তা।
আরও পড়ুন: Dev in CBI office: সিবিআই দফতরে দেব, গরুপাচার-কাণ্ডে শুরু জিজ্ঞাসাবাদ