Book fair will be at the scheduled time? Black clouds of anxiety over strict restrictions

Kolkata Book Fair: নির্ধারিত সময়ে হবে বইমেলা? কড়া বিধি-নিষেধে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ

২০২১-এ কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা সহ জেলাগুলির মেলাও বন্ধ ছিল। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তীব্র ক্ষতি হয়েছিল বইপাড়ায়। ফলে ২০২২-এ যখন বইমেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর ঘোষণা করা হয়, তখন যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পান অনেকে। ঘোষণা অনুযায়ী, ৩১ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলার কথা। কিন্তু রাজ্যে সংক্রমণের হার বাড়তেই ২ জানুয়ারি মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ঘোষণা করেন, সোমবার থেকেই কড়া-বিধিনিষেধ জারি করা হবে। বন্ধ থাকবে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। লোকাল ট্রেন, মেট্রোর উপরেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বইমেলা আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা এবং উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে সকলের মধ্যে।

তবে এখনই বইমেলা নিয়ে কোনও অনিশ্চয়তার কথা বলতে নারাজ বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড (Publishers & Booksellers Guild)। বরং নির্ধারিত দিনেই বইমেলা হওয়া নিয়ে আশাবাদী গিল্ডের কর্তারা। তাই একদিকে তাঁরা রাজ্য সরকারের নির্দেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে, জোরকদমে চালিয়ে যাচ্ছেন বইমেলার প্রস্তুতি।

বিধি নিষেধ জারি হলেও এখনই আশা ছাড়তে নারাজ বইমেলার উদ্যোক্তা গিল্ডের কর্তা ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানান, ‘মেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে। ৯৫ শতাংশ কাজ প্রায় শেষ। ফলে বিধিনিষেধ আরোপ হতেই মেলা বন্ধ করার কথা আমরা ভাবছি না। এই বিধিনিষেধ ১৫ তারিখ পর্যন্ত থাকবে। করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে আবার নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ আশা জাগিয়েই তাঁর আরও বক্তব্য, ‘বইমেলা হবে। কীভাবে হবে এবং পিছিয়ে যাবে কি না, তা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। রাজ্য সরকার যেভাবে বলবে আমরা সেভাবেই এগোবো। এখনও অনেকদিন বাকি। তাই এখনই প্রস্তুতি থামাতে আমরা রাজি নই।’

আরও পড়ুন: কলকাতার ইতিহাসে প্রথম ! পুরসভার লনে পারিষদ-সহ শপথ নেবেন ফিরহাদ

বইমেলার দিন ঘোষণার পর থেকেই প্রস্তুতির কাজ শুরু করে দিয়েছিল গিল্ড। কোভিডবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে বইমেলা আয়োজনের দিকে নজর ছিল প্রথম থেকেই। সে কারণেই কমানো হয়েছে স্টলের মাপ। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে বলেন, ‘‘বইমেলার প্রাথমিক কাজগুলো আমাদের করে যেতে হবে। বইমেলার ম্যাপ তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রকাশকদের স্টল বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিটি স্টলের আয়তন ৩০-৩৫ শতাংশ কমিয়ে মেলাপ্রাঙ্গণে ফাঁকা জায়গা বাড়িয়েছি। আমরা বইমেলা করার জন্য প্রস্তুত। এখন অপেক্ষা সরকার ও স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশের।’’

এবছর ৬০০টির বেশি বইয়ের স্টল ও ২০০টির বেশি লিটল ম্যাগাজিনের স্টল হচ্ছে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায়। মেলাপ্রাঙ্গণে সেগুলির তৈরির কাজ ১৫ জানুয়ারির পরই শুরু হবে।

আরও পড়ুন: বছরের শুরুতেই ব্যাহত মেট্রো পরিষেবা, গিরিশ পার্কে আটকে একের পর এক ট্রেন