আদালতের নির্দেশ মতো যাবতীয় কাজ করতে প্রস্তুত রাজ্য। স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসসসি) নিয়োগের ক্ষেত্রে এমনই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানান, কারও চাকরি চলে যাক, সেটা চান না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নয়া শূন্যপদ তৈরি করতেও রাজি আছে রাজ্য। সেজন্য মোট ১৪,৯১৬ পদ তৈরি করা হবে (ইতিমধ্যে ৫,২০০ পদ তৈরি হয়েছে)।
মঙ্গলবার বিকাশ ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য দাবি করেন, আদালতের নির্দেশ মতো যাবতীয় কাজ করতে প্রস্তুত আছে রাজ্য সরকার। আদালতের মতোই রাজ্য সরকারও চায় যে দ্রুত নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় জটিলতা কেটে যাক এবং যোগ্য প্রার্থীদের হাতে চাকরি তুলে নেওয়া হোক। শুধু তাই নয়, আদালত নির্দেশ দিলে ‘ব্যতিক্রমীভাবে’ (পড়ুন বেআইনিভাবে) যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের চাকরি কেড়ে নিতেও রাজি আছে রাজ্য সরকার। যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মায়ের পুজোয় বাংলা শুনবে দিদির কন্ঠে গান, মহালয়ায় আসছে দিদির প্রথম অ্যালবাম
তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে এটা মেনে নিলেন শিক্ষামন্ত্রী। মঙ্গলবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তো বলেছিলেন, কারও চাকরি যাবে না? তাহলে কেন এখন আদালতের নির্দেশে অযোগ্যদের চাকরি বাতিল করার কথা বলছেন শিক্ষামন্ত্রী? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এদিন বিকাশ বলেন, ‘আদালতের সঙ্গে ছেলেখেলা করার ফল এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁর শিক্ষামন্ত্রী কেন বলছেন, আদালতের নির্দেশে বেআনিভাবে নিযুক্তদের চাকরি থেকে বাদ দিতেও তৈরি তারা? আর তাঁরা তৈরি কি না তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। দুর্নীতির মাধ্যমে যারা চাকরি পেয়েছেন তারা আদালতের নির্দেশেই বাদ যাবে। দেশে এখনো আইনের শাসন রয়েছে। এটা ভুলে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে ইডির দফতরে রাত কাটল পার্থর জামাইয়ের