আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। রবিবার ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। দলীয় সূত্রের খবর, জমায়েতের নিরিখে অতীতের যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে এবারের সমাবেশ। দর্শকাসনে থাকা দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে আরও বেশি জনসংযোগের লক্ষ্যেই ব্রিগেডে এই প্রথমবার দেখা মিলবে র্যাম্পের! যে ব়্যাম্পে হেঁটে মাঠমাঠে পৌঁছে যাবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সূত্রের খবর, মাঝমাঠ থেকেই ‘বিরোধীদের বিসর্জনের গর্জন’ তুলবেন মমতা-অভিষেক।
তৃণমূলের মঞ্চ বাঁধা হয়েছে ব্রিগেডের ঐতিহ্য মেনেই। অর্থাৎ, মঞ্চের মুখ শহিদ মিনারের দিকে। পিছনে ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিসৌধ। মূল মঞ্চের সমান্তরাল থাকবে আরও দুটি মঞ্চ। মূল মঞ্চ থেকে মাঠের উত্তর দিকে প্রায় ৩৪০ মিটারের র্যাম্প। পূর্ব পশ্চিমেও থাকবে ১০ মিটারের র্যাম্প। মূল মঞ্চ – ৭২/২০*২ ফিটর্যাম্প – ৩৪০ ফিট রানিং ও ১৫০ ফিট। ডানদিকে ও বাম দিকে আরও দুই মঞ্চ ৬৮/২৪ ফিটব্রিগেডের মাঠে এই সভা ঘিরে জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে। সম্ভবত এখান থেকেই বাংলার ৪২ কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা হতে পারে। সবদিক থেকেই রবিবার ঘাসফুল শিবিরের এই ব্রিগেড সমাবেশ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
শুধু ব়্যাম্প তৈরি নয়, এবারে শাসকদলের ব্রিগেডের ক্যাপশনেও রয়েছে বিশেষ চমক। শনিবার ব্রিগেডে গিয়ে দেখা গেল, মূল মঞ্চের ক্যাপশনে লেখা, ‘জনগণের গর্জন বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন, তৃণমূলই করবে অধিকার অর্জন’। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, বিরোধী শব্দবন্ধটি গেরুয়া রঙে লেখা হয়েছে। যা থেকে স্পষ্ট, এবারের ব্রিগেডে শাসকদলের প্রধান টার্গেট বিজেপি।
থাকবে বিশালাকার তিনটি ভিডিয়ো ওয়াল। সভার শেষ বিন্দুতে দাঁড়িয়ে থাকা কর্মী, সমর্থকও যেন বক্তার বক্তব্য শোনার পাশাপাশি তাঁকে দেখতে পারেন, সে কারণেই এই ‘হাইটেক’ বন্দোবস্ত। গোটা ব্রিগেডে থাকছে কম করে দেড় হাজার চোঙা। রবিবার সকাল ১১টায় সভা শুরু হওয়ার কথা। লোকসভা ভোটের আগে এই সভা থেকেই ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তার সঙ্গেই চব্বিশের নির্বাচনী লড়াইয়ে কী স্লোগান এবং রূপরেখা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঁধে দেন, সে দিকেই নজর থাকবে গোটা রাজ্যের, গোটা দেশের।