পুলিশে ছুঁলে আঠারো ঘা। বহু পুরাতন কথা। পুলিশের ঘুষ খাওয়ার বিষয়টিও একপ্রকার ওপেন সিক্রেট। হমকি দেওয়ার ব্যাপারটিও। মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে এক সাধারণ নাগরিকের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন এক পুলিশকর্তা। তাঁকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। মামলাটি শোনার পরই আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দেয়, অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টরকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করতে হবে। একই সঙ্গে হাই কোর্টের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে বিভাগীয় তদন্তও করাতে হবে রাজ্য পুলিশকে।
বৃহস্পতিবার অভিযোগকারীর দাবি এবং সিআইডির রিপোর্টের ভিত্তিতেই রাজ্য পুলিশেক ডিজিকে নির্দেশ দেয় কোর্ট। ঘুষ চাওয়া এবং হুমকি দেওয়ার ঘটনায় অবিলম্বে ওই অভিযুক্ত সাব ইনস্পেক্টরকে সাসপেন্ড করে ঘটনাটির তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
নদিয়ার চাপড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর চন্দন সাহার বিরুদ্ধে ঘুষ চেয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। অভিযোগকারীর দাবি ছিল, ওই পুলিশ অফিসার তাঁর কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছেন। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে মিথ্যে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন।
এই দাবির সমর্থনে অভিযোগকারী একটি ফোন রেকর্ডিং জমা দিয়েছিলেন হাই কোর্টে। তার ভিত্তিতেই মামলা হয়। হাই কোর্ট এই অভিযোগ এবং ওই ফোন রেকর্ডিংয়ের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করতে দেখতে বলে রাজ্যের গোয়েন্দা শাখা সিআইডিকে। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর সিআইডির এডিজি আদালতকে জানান, মামলাকারীর দাবিতে সত্যতা রয়েছে।