দোলের আগেই দাম চড়ছিল। আর এখন তো মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে যেতে বসেছে মুরগির মাংস। বাজার হেরফেরে কেজিপ্রতি ৩০০ টাকা ছুঁইছুঁই মাংসের দাম। গত সোমবারও ২২০-২৩০ টাকা যে মাংস বিকিয়েছে। এক সপ্তাহেই তার দাম বেড়েছে প্রায় ৫০ টাকা। ঝোলা হাতে চিকেন কিনতে গিয়ে তাই রীতিমতো হোঁচট খেতে হচ্ছে আম-গেরস্তকে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে রেস্তরাঁয় চিকেনের আইটেমেও কমানো হয়েছে মাংসের পিসের সংখ্যা। কোথাও আবার বেড়েছে দামও।
পোলট্রি ব্যবসায়ীদের দাবি. এবার পোলট্রি চাষে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল। বাচ্চা মুরগির মৃত্যু হয়েছিল প্রচুর। তার জেরে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। আর তার জেরেই এবার দাম চড়তে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: SSC Scam: একা বনি নন, ইডি-র নজরে টলিউডের আরও চার অভিনেত্রী! যে কোনও দিন তলব
ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ফেডারেশনের সম্পাদক মদন মাইতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রচন্ড গরমে মুরগির বাচ্চা প্রচুর মরে গিয়েছে। আরও বাচ্চা মরলে চাষিরা সমস্যায় পড়ে যাবেন। সেই সঙ্গেই মুরগির খাবারের দাম ক্রমেই বাড়ছে। সব মিলিয়ে মাংসের দাম কিছুটা বেড়েছে।
মঙ্গলবার কলকাতায় গোটা মুরগির পাইকারি দর ছিল ১৬০ টাকা। জোগান কম থাকায় দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। মুরগির মাংসের পাশাপাশি বেড়েছে ডিমের দামও। কোথাও সাড়ে ছ’টাকা কোথাও আবার সাত টাকায় তা বিকোচ্ছে। তবে চৈত্র মাস পড়লে মাংসের দাম সামান্য কমলেও কমতে পারে। কিন্তু বৈশাখে বিয়ের মরসুম শুরু হলেই তার দাম ফের বাড়ার সম্ভাবনা। বিক্রেতারা অবশ্য জানাচ্ছেন, আগের তুলনায় যেমন হোটেল-রেস্তরাঁর সংখ্যা বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে চাহিদাও। ফলে বিয়েবাড়ি না থাকলেও রেস্তরাঁর চাহিদা তুঙ্গে থাকে সমসময়। তাই চৈত্র মাসেও যে দাম কমবেই এমনটা হলফ করে বলা যায় না।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘চাকরি খাবেন না’ মন্তব্যে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা