চিংড়িঘাটা এলাকায় জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে বচসা বাধে দুই পক্ষের মধ্যে। ক্রমে তার উত্তাপ বাড়ে। রাগের মাথায় এক যুবকের গলায় কাঁচির কোপ বসিয়ে দেন অন্য জন। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কাঁচির কোপে আরও এক জনের আঘাত লেগেছে বলে অভিযোগ। মৃত যুবকের নাম সাহেব আলি সর্দার। তাঁকে খুনে অভিযুক্ত বিট্টু সর্দার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জোরে গান চালানোর প্রতিবাদ করেছিলেন সাহেব। তার জেরেই প্রকাশ্য রাস্তায় সাহেবকে কাঁচি দিয়ে কোপান বিট্টু। তাঁর গলায়, ঘাড়ে, পেটে কাঁচি ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
অভিযুক্ত বিট্টুকে নিয়ে আগে থেকেই এলাকায় ক্ষোভ ছিল। শনিবারের ঘটনা তাতে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। রাতেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন বিট্টু। রবিবার সকাল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করার দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ। অভিযোগ, এর আগে একাধিক অপরাধমূলক ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন বিট্টু। তাঁকে আগে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে আবার এলাকায় ঢোকেন তিনি।
শনিবারের ঘটনার পর পুলিশ বিট্টুর খোঁজ করছিল। তখনই আচমকা এলাকায় একটি ট্যাক্সির ভিতরে বিট্টুকে দেখতে পান স্থানীয়েরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন উন্মত্ত জনতা। যে যা সামনে পেয়েছেন, তা দিয়েই মারধর করেছেন অভিযুক্তকে। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে।
বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা বলেন, ‘‘দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে। এর আগেও বিট্টুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছিল। তিনি জেল খেটেছেন। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। শনিবার রাতের ঘটনা স্বতন্ত্র। উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’