Civil society on the way to protest Jahangirpur eviction campaign and oppression of minorities

জাহাঙ্গীরপুরীর উচ্ছেদ অভিযান ও সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে পথে নাগরিক সমাজ

একাধিক গণসংগঠন ও নাগরিক সমাজের ডাকে শুক্রবার কলকাতার টিপু সুলতান মসজিদ থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।এই প্রতিবাদী মিছিলে হাজার হাজার মানুষ যোগদান করে।

দিল্লীর জাহাঙ্গীরপুরিতে বুলডোজার দিয়ে সাধারন মানুষের বাড়ি-ঘর ভেঙে ফেলার অভিযান চালিয়েছে। আদালতের নির্দেশের পরেও সেই কাজ বন্ধ হয়নি। অভিযোগ, এই বেআইনি কাজে বৈধতা দেওয়ার জন্য দুটি অজুহাত পুলিশ প্রশাসন ও পৌর প্রশাসন তুলে ধরেছে। যার একটি হল এই অধিবাসীরা নাকি দাঙ্গা বা সহিংসতায় মদদ দিয়েছে। দ্বিতীয়ত: বলা হচ্ছে অবৈধ নির্মাণ করে এরা বসতি নির্মাণ করেছে।

অথচ এলাকাবাসীদের মতে, জাহাঙ্গীরপুরীতে যা কিছু ঘটেছে এবং যেভাবে হিংসা ঘটেছে তা স্পষ্টভাবে আকস্মিক ঘটনা নয়, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে ও পরিকল্পিত ভাবে এটা সংগঠিত করা হয়েছে। অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশকে নষ্ট করতে ঘটনার দিন হনূমান জয়ন্তীর দিন প্রথমে দুবার মিছিল বের করা হয়েছিল। ইফতার ও নামাজের সময়ে তৃতীয়বার মিছিল বের করার সময় হঠাৎ কয়েকজন লোক ঢোল বাজিয়ে জোরে জোরে গান বাজিয়ে বেরিয়ে আসে। মিছিলে থাকা লোকজন নানাভাবে উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে প্রথম আগ্রাসন ও বিশৃঙ্খলা শুরু করে। এদের মধ্যে কেউ কেউ অস্ত্রে সজ্জিত ছিল, মিছিলের সময় প্রকাশ্য ভাবে তারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিল বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান মারফত জানা যায় মিছিলের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি এবং কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনীও মোতায়েন করা হয়নি এলাকায়।

আরও পড়ুন: SSC দুর্নীতি মামলা: বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে পার্থকে CBI দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ হাই কোর্টের, ভরতি হওয়া যাবে না উডবার্নে

আজকের এই মিছিল ও সমাবেশ থেকে দাবি করা হয় যে,

১) সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী জাহাঙ্গীরপুরি এলাকায় স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে হবে। বেআইনি উচ্ছেদের নামে ঘরবাড়িকে বুলডোজার দিয়ে অমানবিকভাবে উচ্ছেদ করার যে কার্যকলাপ দিল্লির পুলিশ প্রশাসন শুরু করেছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
২) অনতিবিলম্বে শোভাযাত্রার সময়ে উস্কানিমূলক স্লোগানদাতাদের এবং সহিংসতায় উস্কানিদাতাদের চিহ্নিত করে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি প্রদান করতে হবে।
৩) নিরীহ ও সাধারণ মানুষের যে সমস্ত বাড়ি ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং দোকানপাট ভেঙে ফেলা হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ ও পূনর্বাসন সরকারকে প্রদান করতে হবে।
৪) পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা, উদাসীনতা ও যোগসাজশের মাধ্যমে এই নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে দোষীদের পুলিশ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৫) পুলিশ প্রশাসন ও সরকারকে সম্প্রদায়িক মনোভাব পরিবর্তন করে সকল সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জন করতে হবে। এই প্রতিবাদী মিছিল থেকে এই ধরনের জঘন্য কাজ থেকে ফিরে জন্য সরকার ও প্রশাসনের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বেতন বকেয়া থাকলেও সব পড়ুয়াকে ক্লাস করতে দিতে হবে, বেসরকারি স্কুলগুলিকে নির্দেশ হাইকোর্টের