বাংলার ঘরের মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। এখন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যেক মাসে ৫০০ টাকা করে পাচ্ছেন মহিলারা। বৃহস্পতিবার তৃতীয় তৃণমূল সরকারের বর্ষপূর্তিতে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০ লক্ষ মহিলার হাতে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’–এর প্রাপ্য টাকা তুলে দিলেন। একইসঙ্গে ঘোষণা করলেন, রাজ্যের ১ কোটি ৫১ লক্ষ মহিলা এবার এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হলেন। প্রত্যেক মাসে ৫০০ টাকা করে পাবেন মহিলারা। তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মহিলাদের জন্য ১০০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে।
গত বছর ঠিক এই দিনেই তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বর্ষপূর্তি বৃহস্পতিবার। এই দিনটির উদযাপনে আজ দিনভর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। নেতাজি ইন্ডোরে নতুন সরকারি প্রকল্পের সম্প্রসারণের পর নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
দিনের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে দুপুরেই জনপরিষেবার কাজটি সেরে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, এই মঞ্চ থেকে একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকেও তোপ দাগলেন তিনি। বললেন, ”আমাদের সরকার জনগণের সরকার। জনতার জন্য কাজ করে। আমাদের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ আছে, আর ওদের কুৎসার ভাণ্ডার। সবসময় খালি বাংলা সরকারের নিন্দা।”
মেয়েদের জন্য কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্প হয়েছে। আমাদের সময় তো একটা হাসপাতালে ভর্তি করতেই পারতাম না। পাড়ার ডাক্তার একটা লালজল দিয়ে দিত। আজ তো সে অসুবিধা নেই। কত হাসপাতাল হয়েছে। এ ছাড়াও ন্যায্যমূল্যে ওষুধ পাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকার দু’বার করে ওষুধের দাম বাড়িয়েছে। মানুষের পকেট কাটছে টাকা নিচ্ছে। জীবনদায়ী ওষুধেরও দাম বাড়িয়েছে। আর আমাদের সরকার স্বাস্থ্যসাথী করেছে।
বাংলা সবাইকে নিয়ে চলে। সব ধর্মের সব জানি। উর্দু, পঞ্জাবি, ধোকলা, ধোসাও জানি। ছট পুজোও জানি, বুদ্ধদেবও জানি, জৈনও জানি, খ্রিস্টানও জানি। আমাদের নতুন করে শিক্ষা দেওয়ার কোনও দরকার নেই। বাংলা শিক্ষার আলোকে আলোকিত। সংস্কৃতির আলোকে সুরভিত। সভ্যতার আলোকে বিকশিত। বাংলা মা-বোনেদের আবেগে গর্বিত। বাংলা ছাত্রছাত্রীদের আবেগে সমৃদ্ধ। তাই এই বাংলা বিশ্ববাংলা।