কয়লাকাণ্ডে (Coal Scam) কয়েকদিন আগেই তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নোটিস পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (Enforcement Directorate)। অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল সোমবার ও মঙ্গলবার। তার একদিন আগেই রবিবাসরীয় দুপুরে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার দুপুর ২ টো নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার তিনি দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
দিল্লি যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘যাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ, কাগজ মুড়িয়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের সিবিআই ইডি ডাকে না। তখন ওঁদের চোখে ছানি পড়ে যাচ্ছে।এই কারণেই তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।’’ অভিষেক দাবি করেছেন, চারদিন আগে তাঁর চোখে অস্ত্রপচার হয়েছে। ডাক্তার তাঁকে বেডরেস্টে থাকতে বলেছেন, তাও তিনি যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: রাজ্যে এবার নীল-সাদা স্কুল ইউনিফর্ম, পকেটে বিশ্ব-বাংলা লোগো
তিনি আরও বলেন, ‘‘এদের গাত্রদাহ কেন, কারণ এরা বাংলায় হেরেছে। গত বছর এদের আমরা ল্যাজেগোবরে করেছি। বাংলার মানুষ বহিরাগতদের তাড়িয়েছে। বাংলার মানুষ মেরুদণ্ড বিক্রি করেনি বলে গায়ে জ্বালা।’’ উল্লেখ্য, নাম না করে তিনি বিজেপি নেতা তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেই আঙুল তুলেছেন বলে মনে করছে বাংলার রাজনীতির কারবারিরা।
উল্লেখ্য, যে দু’টি বিষয় নিয়ে বিজেপি অভিষেকের বিরুদ্ধে কুৎসা, অপপ্রচার করে, দুটিই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। যেমন-কয়লা দপ্তর। এবং বাংলাদেশ সীমান্ত। যেগুলি কেন্দ্রের অধীন, যা পাহারা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী, তার কোথাও কোনও ত্রুটি থাকলে দায় কেন্দ্রের। কী করে সেটার সঙ্গে রাজ্যের অন্য কোনও দলের নেতার নাম জড়ানো সম্ভব? যাই হোক, বিধানসভায় যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী এক প্রতিবাদী বিধায়ককে বাড়িতে আয়কর হানার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ, তাতে এটা পরিষ্কার যে বিজেপি তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: রাসায়নিকের সঙ্গে পেগ বানিয়ে মদ, বারুইপুরে মৃত ৪, আরও দু’জন হাসপাতালে