শনিবার ব্যাঙ্ককে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে। এরপর রবিবারই তাঁকে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। মেনকাকে নাকি রাত ১২টা ৩০ মিনিটে তলব করা হয়েছিল সিজিও কমপ্লেক্সে। এই আবহে নিজের আইনজীবীকে নিয়ে গতরাতে ১২টা ১০ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তিনি। তবে তখন সিজিও কমপ্লেক্স তালাবন্ধ।
একটি টিভি চ্যানেলে এই প্রসঙ্গে মেনকা বলেন, ‘‘আমায় নোটিস পাঠিয়ে রাত সাড়ে ১২টায় ডাকা হয়েছিল, সেই মতো এসেছি।’’ মেনকার আইনজীবী জানান, ১২ সেপ্টেম্বর ‘টুয়েলভ থার্টি এএম’-এ মেনকাকে তলব করেছিল ইডি। সেই মতোই তাঁরা ওই সময়ে সিজিও কমপ্লেক্সে যান। কিন্তু সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার মূল ফটক তালাবন্ধ ছিল সেই সময়। এর পর ইডি দফতরের গেটে নিরাপত্তারক্ষীকে মেনকারা জানান যে, তাঁদের ডাকা হয়েছিল বলেই তাঁরা এসেছেন। এ কথা শোনার পর গেট খুলে দেন রক্ষী। তার পর হেঁটে লিফটে করে ইডির অফিসে যান মেনকারা। সে সময় অফিস তালাবন্ধ ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। কিছু ক্ষণ অপেক্ষার পর কারও সাড়া না পেয়ে ফিরে যান।
আরও পড়ুন: Durga Puja: মুখ্যমন্ত্রী স্বীকৃতি চুরি করে নিচ্ছেন? বিতর্কে জল ঢাললেন খোদ অধ্যাপিকা তপতী
তাঁর আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে জানান, “অফিসে কেউ নেই তাই ফিরে যাচ্ছি।” কিন্তু মাঝরাতে কেন ইডি (Enforcement Directorate) অফিসে হাজির হলেন মেনকা? আইন বলছে সূর্যাস্তের পর কোনও মহিলাকে তলব করা যায় না। পরে অবশ্য নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেয় ইডি। জানায়, নোটিসে ছাপার ভুল ছিল। সোমবার বেলা সাড়ে বারোটায় ফের মেনকাকে তলব করেছে ইডি।
এর আগে, গত শনিবার রাত ৮টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে মেনকাকে ব্যাঙ্কক যাওয়ার জন্য উড়ানে উঠতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিমানবন্দরে পৌঁছে পাসপোর্ট টিকিট কাউন্টারে জমা দিয়ে বোর্ডিং পাস নেওয়ার সময়ই মেনকাকে বাধা দেয় অভিবাসন দফতর। তাঁকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিমানবন্দরে অভিবাসন দফতরের একটি ঘরে বসিয়ে রাখা হয় বলে দাবি। অভিবাসন দফতরের তরফ থেকে তাঁকে জানানো হয়, একটি বিশেষ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছে ইডি। তাই তিনি বিমানে উঠতে পারবেন না এবং শহর ছাড়তে পারবেন না। এর পর তাঁকে তলবের নোটিস ধরানো হয়।
আরও পড়ুন: ১৮ কোটিতে থামল গোনা, পাঁচটি ট্রাঙ্কে টাকা ভরে গার্ডেনরিচ থেকে ফিরল ED