দীর্ঘ প্রায় ১২ ঘণ্টা পর কলকাতার গার্ডেনরিচে নাসির খানের বাড়িতে টাকা গোনা শেষ করলেন ইডি আধিকারিকরা। উদ্ধার হল ১৮ কোটি টাকা। যা নিয়ে যেতে ২০টি ট্রাঙ্ক ও একটি ট্রাক এনেছেন তদন্তকারীরা। রাত ৮.৩০ মিনিট নাগাদ সেই টাকা ট্রাঙ্কে ভরে নিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা।
এদিনের ঘটনা ফের উস্কে দিল বেলঘরিয়া ও টালিগঞ্জে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযানের স্মৃতি। যা হল তাতে জেলবন্দি অর্পিতাকে টপকাতে পারলেন না আমির খান! অর্পিতার দুই ফ্ল্যাট মিলিয়ে উদ্ধার হয়েছিল ৫০ কোটি টাকা। অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে প্রথম দিন প্রায় ২২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। কয়েকদিন পর বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউন আবাসন থেকে উদ্ধার হয় ২৮ কোটি টাকার বেশি।
আরও পড়ুন: TET Recruitment: ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলই, চলবে সিবিআই তদন্তই, খারিজ রাজ্যের আবেদন
শনিবার সকাল ১০ টা নাগাদ হঠাৎই ইডি হানা দেয় গার্ডেনরিচের এই পরিবহন ব্যবসায়ীর বাড়িতে। সাদামাটা বাড়ি। কিন্তু তখনও ইডি আধিকারিকদের ধারণা ছিল না, এই বাড়িতেই লুকিয়ে আছে যকের ধন। তল্লাশি চালাতেই মেলে সূত্র। দেখা যায়, আমির খানের খাটের নীচে থরথরে সাজানো প্লাস্টিকে মোড়া টাকার বান্ডিল। ২০০, ৫০০ ও ২ হাজারের নোট।
প্রথমে হাতেই টাকা গুনতে শুরু করেন আধিকারিকরা। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে ততই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে টাকার পরিমাণ। টাকা গোনার জন্য আনা হয় মেশিন। একের পর এক মেশিন ঢুকতে থাকে গার্ডেনরিচের ওই বাড়িতে। খবর চাউর হতেই ভিড় জমে যায় বাড়ির সামনে। একদিকে যেমন বাড়ির ভেতর বাড়ছিল টাকার পরিমাণ, তেমনই বাড়ি বাইরে বাড়ছিল উৎসুক জনতার ভিড়।
জানা গেছে, মোট ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য আনা হয় পাঁচটি ট্রাঙ্ক। সেই ট্রাঙ্ক ভর্তি করেই টাকা নিয়ে যাওয়া হবে স্ট্র্যান্ড রোডের স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায়। সেই ব্যাঙ্কের ভল্টেই জমা রাখা হবে বাজেয়াপ্ত এই বিপুল অর্থ।
আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচে উদ্ধার TMC কাউন্সিলরের ছেলের দেহ, গলায় কুকুরের বেল্টের ফাঁস