CV Ananda Bose: Governor Bose Unveils His Statue at Raj Bhavan

CV Ananda Bose: রাজভবনে নিজের মূর্তি উন্মোচন রাজ্যপাল বোসের, ‘এ তো পুরো জটায়ু!’ খোঁচা ব্রাত্যর

শ্চিমবঙ্গের রাজভবনে দু’বছর কাটিয়ে ফেলেছেন। সেই উপলক্ষে রাজভবনে নিজের মূর্তি উন্মোচন করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার নিজেহাতে মূর্তিটির উন্মোচন করেন তিনি। সেই নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্যপালকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। এমন দৃশ্য বেনজির বলে মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরাও। (CV Ananda Bose)

শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ চারাগাছ রোপণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তারপরে চিত্র প্রদর্শনী এবং বসে আঁকো প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে এই মূর্তির অনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়। সূত্রের খবর, ভারতীয় জাদুঘরের শিল্পী পার্থ সাহা সপ্তাহ খানেক ধরে এই মূর্তি বানিয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই সেই ছবি পোস্ট করে খোঁচা দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। লিখলেন, ‘এ তো পুরো জটায়ু! রাজভবনে ম্যাকমোহন’। প্রসঙ্গত, বিগতদিনে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বারেবারে সংঘাত দেখা গিয়েছে রাজ্য-রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছিল ব্রাত্যকে। পাল্টা সুর চড়াতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যপালকেও। শুধু ব্রাত্য নয়, মমতা ব্রিগেডের নেতাদের নানা ইস্যুতে প্রায়শই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে দেখা যায়। তবে ছেড়ে কথা বলেন না বোসও। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শেষ হয়েও যেন কখনও শেষ হয় না। এবার সেই আঙিনায় যেন নতুন সংযোজন ‘মূর্তি’ কাণ্ড।

জাদুঘরের তরফে ছবিটি মাইক্রোব্লগিং সাইট X-এ পোস্ট করা হয়। আর সেই ছবি সামনে আসতেই হুলস্থুল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাজ্যপাল নিজে নিজেকে মহান বানাচ্ছেন, নিজেই নিজের পুজো করছেন বলে মন্তব্য করেন অনেকে। রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্যও। তিনি লেখেন, ‘এ তো পুরো জটায়ু! রাজভবনে ম্যাকমোহন’।

 

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জয়প্রকাশ মজুমদারও রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেন। তাঁর কথায়, “আমাদের রাজ্যপাল নিজে নিজের মূর্তি উন্মোচন করেছেন। এমনটা সচরাচর শোনা যায় না। প্রচারে থাকতেই এমনটা করেছেন উনি। এবার কি নিজের মূর্তি নিজে মালা দেবেন উনি?” রাজ্যপাল যে আত্মমগ্ন, এই ঘটনাই তার প্রমাণ বলে মত জয়প্রকাশের। সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেন। এতে রাজ্যপালের মর্যাদার অসম্মান হল বলে মনে করছেন তিনি। গোটা রাজ্যের জন্যই এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন সুজন।