বর্তমানে সাগরদ্বীপ থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। তার আগে পরিস্থিতির দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দানা’ স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সার্বিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে এমন জায়গাগুলি থেকে তিন লাখ ৫৬ হাজার ৯৪১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে সকলে এখনও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেননি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখনও পর্যন্ত ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৭ জন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে আসবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্যোগ মোকাবিলায় ৮৫১টি ক্যাম্প চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন ত্রাণশিবিরগুলিতে ৮৩ হাজার ৫৮৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
নবান্নে সর্ব ক্ষণের হেল্পলাইন চালু থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। নবান্নের হেল্পলাইন নম্বর (০৩৩) ২২১৪৩৫২৬ এবং ১০৭০। পাশাপাশি জেলাগুলিতেও চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন।সাধারণ মানুষকে গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর।তিনি বলেন, ‘ যেকোনও ধরনের সমস্যায় যে কেউ ফোন করতে পারেন। তবে সিরিয়াস এই বিষয়ে কেউ যেন গুজব না ছড়ান, মনে রাখবেন এটা মানুষের জীবন বাঁচানোর লড়াই। অথচ যার যা ইচ্ছে বলে দিচ্ছে ইউটিউবে। কাজেই গুজব থেকে সতর্ক থাকুন।’
পুলিশ যে এলাকাগুলি খালি করে দেওয়ার অনুরোধ করছে, সেগুলিকে মান্যতা দেওয়ার অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর। সমুদ্রের কাছে ভ্রমণ থেকে এই সময় বিরত থাকার জন্যও রাজ্যবাসীকে পরামর্শ দিলেন তিনি। একই সঙ্গে মৎস্যজীবীদেরও সতর্ক করলেন সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, রাতভর নবান্নে থেকেই তিনি গোটা দুর্যোগের মনিটরিং করবেন। বললেন, “সবচেয়ে দামি মানুষের জীবন। সেজন্য জীবন বাঁচানোটা জরুরি। সেখানে যেন কারও সমস্যা না হয়। রাতভর নবান্নে থেকেই সেটা পর্যবেক্ষণ করব।”