নবান্নের সামনে ডিএ আন্দোলনকারীদের ধরনা ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকেই চড়ছিল উত্তেজনার পারদ। ধরনার জেরে যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অসুবিধা হচ্ছিল পুলিশের। এবার ওই ধরনা কর্মসূচির সময়সীমা কমিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। হাই কোর্ট জানিয়ে দিল, নবান্ন বাস স্ট্যান্ডে ৭২ ঘণ্টার বদলে ৪৮ ঘণ্টা ধরনা কর্মসূচি করা যাবে।
বৃহস্পতিবারই ডিএ’র দাবিতে নবান্নের সামনের ধরনার শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেয় হাই কোর্ট। নবান্ন (Nabanna) বাসস্ট্যান্ডে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের অবস্থানে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আদালত জানায়, ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর ধরনায় বসতে পারবেন তারা। তবে আদালতের শর্ত ছিল, ৩০০ জনের বেশি একসঙ্গে ওই ধরনামঞ্চে থাকতে পারবেন না। একইসঙ্গে আদালত জানায়, দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি মেনে করতে হবে অবস্থান আন্দোলন। জাতীয় সড়কের ওপর যাতে কোনও প্রভাব না পরে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় আদালত।
আদালতের সেই নির্দেশকে হাতিয়ার করে মাঝরাতেই নবান্নের উলটোদিকের বাস স্ট্যান্ডের উলটোদিকে ধরনায় বসে পড়েন ডিএ আন্দোলনকারীরা (DA Protest)। ঢাক পিটিয়ে, বাটি বাজিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।বিচারপতি মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ভিডিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।
শুক্রবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে ধরনার সময়সীমা ৭২ ঘণ্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা করে দিয়েছে। এজি কিশোর দত্ত বলেন, “সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে অনুমতি দেওয়া হলেও তার সঙ্গে সহমত নয় রাজ্য। আরও অন্যান্য জায়গা আছে। সাধারণত এখানে ধর্না হয় না। পরিবহন দফতরের জায়গা। ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর করবে বলে অনুমতি পেয়েছেন আন্দোলনকারীরা।”
আন্দোলনকারীদের তরফে আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই এলাকা পুরো ফাঁকা। শনি ও রবিবার ধর্না হবে। রবিবার সকালে বেরিয়ে যাব।” এরপর প্রধান বিচারপতি আইনজীবীকে বলেন, “এটা উৎসবের মরশুম। পার্কষ্ট্রিট সেজে উঠেছে। আগেও বারবার বলেছি এরাজ্যে এটা নতুন নয়। প্রায় এক বছর ধরে আপনাদের অবস্থান চলছে। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ডিএ ঘোষণা করেছেন। তার পরও কেন বিক্ষোভ?”