Didir Doot: Every Family Of This State Can Get Mamata Banerjee Letter

Didir Doot: প্রত্যেক পরিবারের কাছে পৌঁছে যাবে মমতার চিঠি! কী লেখা আছে?

আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে রাজ্যের বিভিন্ন ঘরে ঘরে যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি। দিদির দূত মারফত সেই চিঠি পৌঁছে যাবে। কি লেখা আছে সেই চিঠিতে?

১ জানুয়ারি ২৫ বছর পূর্ণ করেছে তৃণমূল। জনস্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ২ জানুয়ারি থেকে নতুন পথে হাঁটতে শুরু করল রাজ্যের শাসক দল। আর এই পথেও লক্ষ্য একটাই ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, আর্থিক অবস্থা নির্বিশেষে বাংলার সব মানুষের জন্য উন্নয়ন। তাই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘‌২০১১ সালে আপনি যখন এই রাজ্যের উন্নতি এবং সমৃদ্ধির মহান দায়িত্ব আমার কাঁধে অর্পণ করেছিলেন তখন এই রাজ্য সামাজিক–অর্থনৈতিকভাবে ছিল বিধ্বস্ত। এই রাজ্য হয়ে উঠেছিল নিঃস্ব এবং চরম নৈরাশ্য। তারপর থেকে সেই গুরুদায়িত্ব যথার্থভাবে এবং নিষ্ঠা সহকারে পালন করার জন্য আমি নিত্যদিন চেষ্টা করেছি। প্রতিটি মুহূর্ত এই স্বপ্ন দেখে এগিয়ে চলেছি যে, রাজ্যের প্রতিটি অংশের মানুষ যেন নিরাপদে, সুস্থভাবে এবং আনন্দে জীবনযাপন করতে পারে।’‌

আরও পড়ুন: Debangshu Bhattacharya: যুব তৃণমূলের রাজ্য কমিটি থেকে বাদ, দেবাংশুর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা

সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ‘‌বাংলার জন্য আমি যে স্বপ্ন বুনেছিলাম, সেই স্বপ্নই আমাকে এমন কিছু প্রকল্প আনতে অনুপ্রানিত করেছে যাতে আপনার জীবনের প্রতি পদক্ষেপ যেন সুরক্ষা বেষ্টনীতে আবৃত থাকে। আমি শিক্ষা থেকে চাকরি, স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে আবাসন এবং খাদ্য থেকে সামাজিক সুরক্ষা—এই সবকটি ক্ষেত্রেই এমন কিছু প্রকল্প তৈরি করেছি যা আপনার জীবনকে একটি সামগ্রিক নিরাপত্তার মধ্যে রাখবে, তা হলো আমার সুরক্ষা কবচ। এই সুরক্ষা কবচ বাংলার সকল বাসিন্দাকে নিরাপদ রাখার জন্য আমার প্রচেষ্টার একটি স্বীকৃতি এবং উন্নয়নের অগ্রগতির সাক্ষ্য।’‌

মমতা বন্দোপাধ্যায় চিঠিতে লিখেছেন, ‘‌আপনি এবং আপনার পরিবার আমার সুরক্ষা কবচের আওতায় যে সদা সুরক্ষিত আছেন তা নিশ্চিত করার জন্য আমি আমার বিশ্বস্ত প্রতিনিধি হিসাবে আমার দূত আপনার বাড়িতে প্রেরণ করছি। আমি অনুরোধ করছি, আপনি তাঁকে/তাঁদেরকে আপনার বহু মূল্যবান সময় দিয়ে সাহায্য করবেন। যদি আপনার কোনও প্রশ্ন, কোনও অভাব–অভিযোগ বা কোনওরকম সমস্যা থাকে তবে তা অনুগ্রহ করে আমার দূতকে জানিয়ে দেবেন। আমি পূর্ণ আশ্বাস দিচ্ছি যে, আপনার সমস্ত অভাব–অভিযোগ আমি ব্যক্তিগত স্তরে শুনব এবং সমাধান করব।’‌

যদিও বাম-বিজেপি-কংগ্রেস একযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই চিঠির বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে৷  বিরোধীদের বক্তব্য, সামাজিক প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে। মানুষের বাড়ি গিয়ে লাভ নেই।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’, পঞ্চায়েতের আগে নয়া কর্মসূচি তৃণমূলের