বিজেপির নবান্ন অভিযান আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরুর আগেই পুলিশের হাতে আটক হয়ে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে পুলিশ আটক করছে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিংহকেও। পিটিএসের সামনে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান শুভেন্দু। হুঁশিয়ারি দেন আদালতে যাওয়ার। একপ্রস্ত বিতণ্ডার পর পুলিশ শুভেন্দু, লকেটকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে চলে যায়।
বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ পিটিএসের সামনে আটকে দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারী এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিরোধী দলনেতা এবং সাংসদ। মহিলা পুলিশকর্মীরা কেন তাঁর গায়ে হাত দিচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। মহিলা পুলিশ অফিসারদের দেখেই তাঁর মন্তব্য, ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’।তিনি ওই এলাকায় কর্তব্যরত আইপিএস আধিকারিককে ডেকে পাঠানোর দাবি তোলেন।
আরও পড়ুন: Madan Mitra: নিজেকে নিজের মতো গুটিয়ে নিয়েছি! রাজনীতি থেকে অবসরের ভাবনা মদন মিত্রের
চলে আসেন দক্ষিণ কলকাতার ডেপুটি কমিশনার আকাশ মাঘারিয়া। তাঁর সঙ্গে শুভেন্দুর উত্তপ্ত বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। শুভেন্দু বলেন, ‘‘এখানে সব লেডি পুলিশ আমার গায়েও হাত দিচ্ছে। এটা তাঁরা করতে পারেন না। আপনাদের বিরুদ্ধে আমি আদালতে যাব।’’ ডিসি সাউথ বলেন, ‘‘স্যর, আমাদের বাহিনীতে নারী-পুরুষ ভাগ হয় না।’’ শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমাকে কেন আটকানো হচ্ছে? আমাকে যেতে দিন। বাইকে করে আমাকে আর এমপিকে (লকেট) হাওড়া স্টেশন পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। আমরা লোকাল ট্রেন ধরে হাওড়া থেকে সাঁতরাগাছি চলে যাব। অসভ্যতামোর সীমা আছে! এটাকে নর্থ কোরিয়া করে দিয়েছেন। করুন, অ্যারেস্ট করুন। আমি এখুনি হাই কোর্টে মুভ করব।’’ তার পরই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন শুভেন্দু ও লকেট।
পুলিশ তাঁদের দু’জনকেই আলাদা আলাদা প্রিজন ভ্যানে তুলে দেয়। প্রিজন ভ্যান রওনা দেয় লালবাজারের দিকে।
আরও পড়ুন: Nabanna Abhijan: বিজেপির নবান্ন অভিযান রুখতে মরিয়া পুলিশ, রাখা হচ্ছে বজ্র -জলকামান