ফের বাড়ল দুর্গাপুজোর অনুদান। ৬০ হাজার থেকে বেড়ে হল ৭০ হাজার টাকা। ছাড় দেওয়া হল বিদ্যুতের বিলেও। মঙ্গলবার জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
পঞ্জিকা মেনে এ বার উমা আসবেন দেরিতে। ২ কার্তিক ষষ্ঠী। তবে মঙ্গলবার, ৫ ভাদ্র দুর্গাপুজোর আগমনী সুর বাজিয়ে দিলেন মমতা। ঘোষণা করে দিলেন এ বার রাজ্যের সব দুর্গাপুজো কমিটিকে রাজ্যের তরফে কত টাকা দেওয়া হবে। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুলিশ, প্রশাসন ও পুজো কমিটি নিয়ে বৈঠকে বসেন মমতা। একই সঙ্গে রাজ্যের সব জেলাতেও সরাসরি বৈঠকের সম্প্রচার হয়। জেলা প্রশাসনও যোগ দেয় বৈঠকে।
প্রতি বছর রাজ্যের পুজো কমিটিগুলিকে রাজ্য়ের তরফে আর্থিক সাহায্য করা হয়ে থাকে। প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হত। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে অনুদানের পরিমান কার্যত দ্বিগুণের বেশি করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, করোনাকালে ‘স্পনসর’ পাচ্ছিল না পুজো কমিটিগুলি। কমেছিল বিজ্ঞাপনও। সেই সময় রাজ্যের ক্লাবগুলির কাছে কল্পতরু হয়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। ৫০ হাজার টাকা অনুদানের কথা ঘোষণা করেন তিনি। পরের বছর বাড়ে আরও ১০ হাজার। এই বছর অনুদান আরও ১০ হাজার টাকা বৃদ্ধি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে ক্লাবগুলিকে অনুদানের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াল ৭০ হাজার টাকা। তবে শুধুমাত্র নগদ অনুদান নয়, বিদ্যুৎ-সহ একাধিক ক্ষেত্রে পুজো কমিটিগুিলিকে বড় ছাড় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য স্কুলের পড়ুয়াদের স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। মণ্ডপে প্রবেশ ও বাহিরের আলাদা পথ রাখতে হবে। সেই সঙ্গে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রাখতে হবে।’’ বিসর্জনের জায়গায় আলো ও ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করায় বাড়তি গুরুত্ব দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। জরুরি পরিস্থিতির জন্য চিকিৎসক, নার্স, অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা এখন থেকেই করে রাখতে হবে জেলায় জেলায়। পুজোর সময় যেন হেল্পলাইন নম্বরগুলো কার্যকর রাখতে হবে। পুজো কমিটিগুলিতে বার বার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য মাইকে ঘোষণা করতে হবে। জনকল্যাণমূলক হোর্ডিং রাখতে হবে। সরকারের বিভিন্ন দফতর বিজ্ঞাপন হিসাবে হোর্ডিং দিলেও তা কম দামের হবে।
এই বছর বিসর্জন করতে হবে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে। লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন ২৭ অক্টোবর হবে পুজোর কার্নিভ্যাল।
আরও পড়ুন: Moloy Ghatak: বিধানসভায় হঠাৎ অসুস্থ মন্ত্রী মলয় ঘটক, তড়িঘড়ি ভর্তি করানো হল হাসপাতালে