মা হতে চেয়েছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, আর তাতে সায় দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ ইডির চার্জশিটে বিস্ফোরক দাবি৷ সম্প্রতি চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মা হতে চেয়েছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, আর সেখানে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক৷
নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ একা নন, তাঁর সঙ্গে জেল হেফাজতে রয়েছেন অর্পিতাও। দু’জনের মধ্যে সম্পর্কটা ঠিক কী ছিল তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতার বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাট থেকে ৩১টি এলআইসি পলিসির নথি পাওয়া গিয়েছে। প্রত্যেকটির নমিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, পলিসির নথিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আঙ্কেল বলে উল্লেখ করেন অর্পিতা। বিমার প্রিমিয়াম বাবদ বছরে দেড় কোটি টাকা দিতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Nabanna Abhijan: BJP-র মারে হাত ভেঙেছে পুলিশ কর্তার, গ্রেফতার তিন
ইডির দাবি, ২০১২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের যোগাযোগ হয়। চার্জশিটে উল্লেখ, পার্থকে অর্পিতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কিছু জানি না বলে এড়িয়ে যান। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে পার্থর লেখা একটি চিঠি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। সেই চিঠিতে লেখা, অর্পিতা যদি সন্তান দত্তক নিতে চান, তাহলে আপত্তি নেই পার্থর। ইডি দাবি করেছে, ওই চিঠিতে পার্থ নিজেকে অর্পিতা ‘ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু’ বলে উল্লেখও করেছেন। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, অর্পিতা সন্তান দত্তক নিলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।
সূত্রের খবর, ‘এই চিঠি দেখিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্নও করেন তদন্তকারীরা। জবাবে প্রাক্তন মন্ত্রী জানান, আমি এক জন জনপ্রতিনিধি। আমার কাছে অনেকেই এই ধরনের সুপারিশ চিঠির জন্য আসেন। তাই ওই চিঠি লিখে দিয়েছি। এটা আলাদা কিছু নয়।”
প্রসঙ্গত, ইডি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশির সময়েই তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার দক্ষিণ কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে হানা দেয়। সেখানে নগদ ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ছাড়াও বহুমূল্য গয়না এবং বিদেশি মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করে। সেই সময়ে বহু নথিও অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নিয়ে যান ইডির আধিকারিকরা। সোমবার যে চার্জশিট ইডি আদালতে পেশ করেছে তাতে পার্থ ও অর্পিতার নামে বিভিন্ন জায়গায় বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলেও উল্লেখ রয়েছে। কোন দেশের কত মুদ্রা অর্পিতার হেফাজত থেকে পাওয়া গিয়েছে তারও উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। তবে সব ক্ষেত্রেই ইডি দাবি করেছে, এই সব মুদ্রার প্রকৃত সুবিধাভোগী পার্থ।
আরও পড়ুন: SFI-DYFI Rally: ‘ইনসাফ’-এর দাবিতে পথে বামেরা, ভিড়ের ঠেলায় স্তব্ধ ধর্মতলা মোড়